জাহাজ-জটে চট্টগ্রাম বন্দর

জাহাজ-জটে চট্টগ্রাম বন্দর

  • নিউজ ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ধাক্কা সামলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ধীরে ধীরে সচল হলেও বন্দরে জাহাজের জট কমছে না। বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল (২৩ মে) জেটিতে ভেড়ার অপেক্ষায় সাগরে অপেক্ষমাণ ছিল ১২টি কনটেইনার জাহাজ। এসব কনটেইনারে রয়েছে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য ও ভোগ্যপণ্য। কনটেইনার ছাড়াও বহির্নোঙরে সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। রোববারের হিসাবে, বহির্নোঙরে ৮৭টি জাহাজে খালাসের অপেক্ষায় ছিল ১৮ লাখ ৭৮ হাজার টন পণ্য, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

বন্দর সূত্র থেকে আরও জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আঘাত হানার আগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের পরদিন রোববার সকালে ১৬টি ও গতকাল সোমবার ১১টি জাহাজ ভেড়ানো হয় জেটিতে। এর মধ্যে পণ্য খালাস শেষে গতকাল একটি জাহাজ জেটি থেকে বের করে নেওয়া হয়েছে। হিসাব করে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেটিতে ৩৯ ঘণ্টা এবং বহির্নোঙরে প্রায় ৬৩ ঘণ্টা কাজ হয়নি।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, জেটি সংকটের কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্দরে জাহাজ জট লেগে আছে। এর ওপর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় জট আরও বেড়েছে।

পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর বন্দর ও জাহাজীকরণ-বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী গতকাল বলেন, ‘পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যাওয়ার আগেই বড় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

পণ্য স্থানান্তরে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এ কে এম শামসুজ্জামান বলেন, বহির্নোঙরে পণ্যের জট বেড়েছে। পর্যাপ্ত লাইটার জাহাজ পাওয়া না গেলে এ জট শিগগিরই কাটবে না।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment