৮০ শতাংশ অর্থই পাচার হয়ে যায়
- নিউজ ডেস্ক
বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে থাকে। চোরাচালান ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ হতে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কৌশলে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও ভোগের ক্ষেত্রসমূহে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ’- শীর্ষক দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এই তথ্য উঠে আসে।
বুধবার শুল্ক গোয়েন্দার কার্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানে শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এমন তথ্য দিয়ে বলেন, ‘আর্ন্তজাতিক গবেষণায় দেখা গেছে বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় ৮০ ভাগ অর্থ পাচার হয়ে থাকে। যা চোরাচালান ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ হতে অর্জিত হয়। তাই অবৈধভাবে অর্জিত ‘ডার্টিমানি” বিভিন্নভাবে স্থানান্তর, হস্তান্তর, স্তরীকরণ ও ভোগের ক্ষেত্রসমূহ যথাযথভাবে আইনের আওতায় আনতে পারলে মানিল্ডারিং প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। অন্যদিকে সমাজে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতাও কমে যাবে।’
সরকারের সুশাসনকে সামনে রেখে কাস্টমসের সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বিভিন্ন শুল্ক দপ্তরের ৫৩ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সিআইডসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞগণ প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, এ সংক্রান্ত মামলা ও চার্জশিট এবং পরবর্তী সময়ে করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।