দেশের প্রথম জিআই পণ্য জামদানি

দেশের প্রথম জিআই পণ্য জামদানি

  • নিউজ ডেস্ক 

দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন সনদ পেয়েছে জামদানি।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) জামদানিকে এ নিবন্ধন দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখারের হাতে এ নিবন্ধন সনদ তুলে দেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল সংস্থাটি।

জিআই সনদ প্রদান উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিবন্ধনের ফলে জামদানির মালিকানা স্বত্ব পেল বাংলাদেশ। এর ফলে জিআই নিবন্ধনের লোগো ব্যবহার করে জামদানির নতুন করে ব্র্যান্ডিং করা যাবে। এতে ভালো দাম মিলবে। ক্রেতারাও সঠিক পণ্য পাবেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় দেশিয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দিতে। বিশ্বে বাংলাদেশের যে কয়টি পণ্য সুপরিচিত, জামদানি এর মধ্যে অন্যতম। এটি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পণ্য মসলিনের পঞ্চম সংস্করণ।

তিনি বলেন, একে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের মাধ্যমে দেশি ঐতিহ্য সুরক্ষার পথে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে গেল।

মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে জাতীয় মাছ ইলিশসহ অন্য ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যকেও নিবন্ধন দেওয়া হবে।

শিল্পসচিব বলেন, বহু আগে থেকে বেশ কিছু পণ্যের জিআই নিবন্ধন করেছে ভারত। বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে আইন করার পর ২০১৫ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। এর পর জিআই পণ্যের নিবন্ধন ও সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ পণ্যের ব্র্যান্ডিং ও কারিগরদের কাজের সঠিক মূল্য পেতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিল্পসচিব বলেন, একসময় জামদানিকে প্রণোদনা দেওয়া হতো। আবারও এ সুবিধা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী পণ্য ইলিশ, আম, সিল্ক শাড়ি, নকশিকাঁথাসহ অন্যান্য পণ্য নিবন্ধন করা হবে।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ভারত জামদানির জিআই নিবন্ধন নিলেও দেশটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব হবে না। তাদের জামদানির চেয়ে বাংলাদেশের জামদানি সম্পূর্ণ আলাদা। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াইপোর নিয়ম অনুযায়ী জামদানির ওপর জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কোনো আপত্তি আসেনি। তাই এ ক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা নেই।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিপিডিটির রেজিস্ট্রার মো. সানোয়ার হোসেন জানান, আগামী এক বছরের কম সময়ের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে ইলিশ মাছের জিআই নিবন্ধন হবে। এ ছাড়া জেলাভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী পণ্যের খুব শিগগির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এর আগে শিল্পমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে হস্ত ও কারুশিল্প নীতিমালার ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হস্ত ও কারুশিল্পের উন্নয়নে একটি সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment