উচ্চশিক্ষা কি শুধুই চাকরির জন্য?
- ইমরান মাহফুজ
‘বেশি দামে কেনা কম দামে বেচা আমাদের স্বাধীনতা’ ৪৪ বছর আগে প্রকাশিত আবুল মনসুর আহমদের বইটি পড়ছিলাম কয়েকদিন। বইটির প্রতিটি পাতায় আবেগকে বাদ দিয়ে যৌক্তিক মননে বিশ্লেষণ করেছেন কালান্তর। পড়তে পড়তে সমকালের অনেক কথাই ভাবছি। সেই সঙ্গে ভাসছে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষেত্রে চরম এক নৈরাজ্য পরিস্থিতির বিরাজমান চেহারা। যে চেহারার ছায়া সরাসরি প্রভাব পড়ছে তরুণদের ওপর। ফলে হতাশ তরুণরা মিশে যাচ্ছে বিভিন্ন অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আবার কখনো সাধারণ চিন্তা ও কাজ থেকে হয়ে পড়ছে নিষ্ক্রিয়।
এইভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। দেশে তরুণদের বিশেষত শিক্ষিত তরুণদের এক বৃহদাংশ বেকার জীবন যাপন করছে এবং সেটা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে- ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ দুই বছরে মাত্র ছয় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, অথচ এই সময়ে প্রতিবছর দেশের কর্ম বাজারে প্রবেশ করেছে প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। অর্থাৎ মাত্র দুই বছরে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ৪৮ লাখ। অথচ ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর চাকরি বা কাজ পেয়েছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৬ এপ্রিল ২০১৬)।
বেকারত্ব এক অভিশাপ। প্রসঙ্গে বেশকিছু বিষয় ভাবলাম এবং মাঠে গিয়ে কথা বললাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যারয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে, অধিকাংশেরই স্বপ্ন বিসিএস। ব্যতিক্রম দেখেছি ব্র্যাক ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে, তারা নিজে কিছু করতে চায়। তার সংখ্যাও খুব বেশি নয়। কিন্তু শাবিপ্রবিতে পড়েও প্রযুক্তির কাজে আগ্রহী না হয়ে চাকরি করতে চায়। উচ্চশিক্ষা কি শুধুই চাকরির জন্য?
জানতে চাইলাম, একজন বললেন সরকারি চাকরিতে একটা সম্মান আছে। আবার বিয়ের ক্ষেত্রেও দেখা যায় সরকারি চাকরি বেশি গুরুত্ব পায়। বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসে চাকরি এখন বেশ লোভনীয়। তাই হয়ত প্রতিযোগিতাও বেড়ে গেছে মারাত্মক।
সাধারণ শিক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্র বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে পাশ করা ছাড়াও এখন বিবিএ, আইবিএ, বুয়েট থেকে বেরিয়েও আগ্রহী সরকারি কর্মকমিশনে!
সেই সঙ্গে একদল শিক্ষিত বেকার দাবি তুলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স পঁয়ত্রিশ বছর করতে হবে। খুব হাস্যকর! পথ নিয়ে ভাবে না, পথের মানুষ নিয়ে মাথা ব্যথা। চিন্তার কত সঙ্কট।
আবার দেখা যায় আমাদের দেশের দুই ধরনের প্রবণতা। প্রথমে তারা উচ্চমাধ্যমিক পাস করলেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যতটা আগ্রহী, কারিগরি বা কর্মদক্ষতা বাড়ানোর শিক্ষা নিতে ততটা আগ্রহী নন। দ্বিতীয়ত খুব কম ক্ষেত্রেই কাউকে উদ্যোক্তা হতে দেখা যায়। সবাই চাকরি প্রত্যাশা করেন, কেউ চাকরি সৃষ্টির কথা ভাবেন না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে চাকরির আশায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করা এখন সাধারণ বিষয়।
এছাড়াও বর্তমানে সবকিছুতেই প্রবেশাধিকার অনেক বেশি। অনেকেই অন্যদের জীবন যাপন দেখে নিজের জন্যও অনেক সময় সে রকম জীবনের চিন্তা করে। আর সেটা হয়তো অর্থনৈতিক কারণে কিংবা নিজের ব্যক্তিগত কারণে যখন পায় না তখনই হতাশায় থাকে। অন্যদিকে রাষ্ট্রে সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কোনো কিছু হচ্ছে না তখনই তারা হতাশায় ভোগে। এদেশে ঘুষ, দুর্নীতি কিংবা রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া চাকরি পাওয়া কঠিন। অযোগ্য মানুষরা দলীয় আনুগত্যের কারণে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই দৌড়ে তরুণ মেধাবীরা মার খেয়ে যাচ্ছে। তবে কাজ জানা লোক কোনদিন বেকার থাকছে না, কিংবা আমাদের দেশের ‘উচ্চশিক্ষিতদের’ মধ্যে কর্মদক্ষ এমন লোক খুবই কম!
সরকারের উচিত বছর বছর নতুন প্রতিষ্ঠান না করে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করে মানুষকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করা। তাহলেই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ হবে। স্বাধীনতা এবং মুক্তির চেতনা ফিরে পাবে। আজও এই দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদার সমাধান হল না, ঝুলে আছে ২১, ১১ ও মুক্তির সনদ ৬ দফা!
পৃথিবীতে এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানে বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল খুব একটা নেই। বাজেট কখন উত্থাপিত হয়, কখন পাস হয় নাগরিকরা তা জানেন না, খোঁজখবর রাখেন না প্রায়ই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম নিঃসন্দেহে। অধীর আগ্রহে খোঁজ খবর রাখলেও হতাশ হয়ে বাসায় ফিরেন বেকার সমাজ!
তাছাড়া দেশে প্রতিবছরই বাড়ছে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা। প্রতিবছর নতুন করে কমপক্ষে ২০ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে শ্রমবাজারে। কিন্তু তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বাজেটে নির্দিষ্ট করে কোনো রূপরেখা থাকে না। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তাই বরাবরের মতো সুনির্দিষ্ট কর্মসংস্থানের কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ঘোষিত হচ্ছে নতুন অর্থবছরের বাজেট।
প্রতিটি দেশের বাজেটে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব কমানোর একটি রূপরেখা থাকে। এটিই থাকে বাজেটে তরুণদের মূল আকর্ষণ, কিন্তু বাংলাদেশে তা উপেক্ষিত। ২০১০ সালে সরকারিভাবে ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় কিছু সাময়িক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নানা অনিয়মের কারণে তা টেকসই হয়নি। এরপর নতুন করে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। (মাসুম বিল্লাহ ৭জুন ২০১৮ শেয়ার বীজ)
বিভিন্ন তথ্য ও তত্ত্ব বিশ্লেষণে দেখা যায় ভারতে বিদেশ থেকে যে রেমিটেন্স আসে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। অন্যদিকে সিডার বাংলাদেশ সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছে, পরিস্থিতি হয়তো তার চেয়েও ভয়াবহ। ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এক পরিসংখ্যানে দেখিয়েছে, বাংলাদেশে শতকরা ৪৭ ভাগ গ্রাজুয়েট হয় বেকার, না হয় তিনি যে কর্মে নিযুক্ত এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট হওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না তার। প্রতিবছর বাংলাদেশে ২২ লাখ কর্মক্ষম মানুষ চাকরি বা কাজের বাজারে প্রবেশ করছেন। এই বিশাল-সংখ্যক কর্মক্ষম মানুষের মাত্র সাত শতাংশ কাজ পাবেন। এর অর্থ হচ্ছে, দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বেকারের তালিকায় নাম লেখাচ্ছেন। ভারত, পাকিস্তান বা নেপালের পরিস্থিতিও তেমন একটা ভালো নয়। ভারতে ৩৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৮ শতাংশ আর নেপালে ২০ শতাংশ মানুষ চাকরির সন্ধান করছেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বা সমপর্যায়ের শিক্ষায় শিক্ষিত।
অন্যদিকে সার্বিক পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ভালো। ইনডেক্স মুন্ডি বলছে, বাংলাদেশে সার্বিক বেকারত্বের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫.০ শতাংশ, ভারতে ৮.৮ শতাংশ, পাকিস্তানে ৬.৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় এই সংখ্যা ৫.১ শতাংশ। বিশ্বের সর্বাধিক বেকারের বাস জিম্বাবুয়েতে। শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষেরই কোনও কাজ নেই। আফ্রিকা বাদ দিলে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের অবস্থাও শোচনীয়। কসোভোয় ৩১ শতাংশ, গ্রিসে ২৮ শতাংশ, স্পেনে ২৬.৩ শতাংশ, পর্তুগালে ১৬.৮ শতাংশ, ইটালিতে ১২.৪ শতাংশ, আয়ারল্যান্ডে ১৩.৫ শতাংশ মানুষ বেকার। আর সৌদি আরব, বিশ্বের অন্যতম তেল সমৃদ্ধ দেশে ১০.৫ শতাংশ মানুষের কোনও কাজ নেই। সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশের সমস্যা হচ্ছে, তেলের ভাণ্ডার তাদের সর্বনাশের প্রধান কারণ। তারা মনে করেছিল, তেলের প্রয়োজনীয়তা কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। ১৯৬২ সাল হতে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ড. আহমেদ জাকি ইয়ামানি সৌদি আরবের তেলমন্ত্রী ছিলেন। পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ইয়ামানি অত্যন্ত বাস্তববাদী ছিলেন। একপর্যায়ে বলেছিলেন প্রস্তর যুগ শেষ হওয়ার পেছনে প্রস্তরের অপ্রাপ্যতার কারণ ছিল না। কারণ ছিল মানুষ প্রস্তরের বিকল্প আবিষ্কার করে ফেলেছিল। এক সময় তেলেরও প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে যা বিকল্প জ্বালানি আবিষ্কারের ফলে এখন অনেক দেশেই দেখা যাচ্ছে। সৌদি তেল এখন বিশ্ববাজারে সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে সৌদি রাজকোষে টান পড়েছে। সরকার সেই দেশের সরকারি কর্মচারীদের বেতন ২০ ভাগ কমিয়ে দিয়েছে। সৌদি আরবের এখন আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে হজের মৌসুমের আয়, যে কারণে বর্তমানে একজন মানুষের হজ করতে যেতে হলে দু’তিন বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ অর্থ ব্যয় করতে হয়।
পণ্যনির্ভর অর্থনীতির ঝুঁকি অনেক বেশি। ফলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই সৌদি আরবের উচিত হবে, তেলের অর্থ সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা আর সৌদি আরবের মানুষকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করা। সেই পরামর্শ আমার দেশের জন্যও। যৌক্তিক সময়ে আবেগকে সংযত করে দেখে এবং ঠেকে শেখার ইতিবাচক মানসিকতা রাখা জরুরী হয়ে পড়েছে।
যত দিন যাচ্ছে তত স্বাভাবিক জীবনে সুখ আকাশে উঠছে। ফলে নির্ভরতার বদলে কথিত পড়ার নামে, উচ্চশিক্ষিত ভাইটি হয়ে উঠছেন বড় বোঝা। বরং কম শিক্ষিত ও অশিক্ষিতরা কোনো না কোনো কাজ পাচ্ছে; আর সমাজে নিগ্রহের পাত্র হয়ে হতাশায় ডুবছেন উচ্চশিক্ষিতরা। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করে অধিকাংশ বেকার চাকরিতে ঢোকার ৩০ বছর বয়সসীমা পার করছেন আবেদন করে করেই। মাস্টার্স সম্পন্ন করা ছেলেমেয়েরা আবেদন করছেন এমএলএসএস পদে; কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের কথাগুলো মনে রাখার মতো, আমরা চাকরিজীবী।.. অধীনতা মানুষের জীবনী-শক্তিকে কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরার মত ভুয়া করিয়ে দেয়। ইহার আবার বিশেষত্ব আছে, ইহা আমাদিগকে একদমে হত্যা করিয়া ফেলে না, তিল তিল করিয়া আমাদের জীবনী-শক্তি, রক্ত-মাংস-মজ্জা, মনুষ্যত্ব বিবেক, সমস্ত কিছু জোঁকের মতো শোষণ করিতে থাকে। আখের কল আখকে নিঙ্ড়াইয়া পিষিয়া যেমন শুধু তাহার শুষ্ক ছ্যাবা বাহির করিয়া দিতে থাকে, এ-অধীনতা মানুষকে-তেমনি করিয়া পিষিয়া তাহার সমস্ত মনুষ্যত্ব নিঙ্ড়াইয়া লইয়া তাহাকে ঐ আখের ছ্যাবা হইতেও ভুয়া করিয়া ফেলে। তখন তাহাকে হাজার চেষ্টা করিয়াও ভালমন্দ বুঝাইতে পারা যায় না। .. দেখাইতে পারো কি, কোন জাতি চাকরি করিয়া বড় হইয়াছে? .. দেখিয়াছ কি চাকরিজীবীকে কখনও স্বাধীন-চিত্ত সাহসী ব্যক্তির মতো মাথা তুলিয়া দাঁড়াইতে? তাহার অন্তরের শক্তিকে যেন নির্মমভাবে কচলাইয়া দিয়াছে ঐ চাকরি, অধীনতা, দাসত্ব।
তাই এক কথায় বলতে হয় চাকরির লোভ ত্যাগ করা উচিৎ শিক্ষিতদের। এতে তাদেরই মঙ্গল। মনে রাখবেন, রাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় ১০০% মানুষ শিক্ষিত হবে। কিন্তু সবাই তো সরকারি জব পাবে না। কাউকে ঠেলা চালাতে হবে, কাউকে ধান রোপণ করতে হবে, কাউকে ইলেক্ট্রিশিয়ান হতে হবে। তো, কারা হবে এসব? এক সময় মাস্টার্স পাশ করেও আপনাকে ধান লাগাতে হবে, জুতো সেলাই করতে হবে। আরো মনে রাখা ভালো, জ্ঞানদরিদ্র সমাজে চারিত্রিক ও মানসিক; জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতি করতে হলে সত্যিকারের শিক্ষা আমাদের লাভ করতে হবে। দৃষ্টি করতে হবে প্রসারিত। ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে বিশ্বের বিশালতায় উন্মুক্ত করতে হবে নিজেদের- বলাকার মত। আনন্দ মনে তরুণরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। সময় ও সমাজ সুন্দর হবে।