কিশোরকাল ধরা আছে যে সিনেমায়
- নাইমা আনজুমান মুন
আশির দশক থেকে আমেরিকান পরিচালক জন হিউজের বেশিরভাগ সিনেমা ছিল কিশোর এবং তরুণ তরুণীদের মনস্তত্ব। তাদের চিন্তা ভাবনা, আচার-আচরণ, জীবনকে উপভোগ করার নানামাত্রিক কৌশল সিনেমার মাধ্যমে তিনি তুলে ধরতেন দর্শকের কাছে।
তার বেশিরভাগ সিনেমার প্রেক্ষাপট শিকাগোর মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোকে ঘিরে। তিনি যাদু বাস্তবতা এবং কিশোর-কিশোরীর জীবন নিয়ে নির্মিত ‘কামিং অফ এইজ’ সিনেমার জন্য বিখ্যাত। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে ১৯৮৪ সালে মুক্তি পাওয়া সিক্রটিন ক্যান্ডেলস, ১৯৮৫ সালে নির্মিত উইয়ার্ড সায়েন্স, ১৯৮৬ সালে ফেরিস বুয়েলারস ডে অফ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
হিউজের প্রতিটি সিনেমা মিশে গেছে আশি বা নব্বইয়ের কিশোর-কিশোরীর জীবনের সঙ্গে। এসব সিনেমা সময়ের সাথে সাথে অর্জন করেছে ক্লাসিকের মর্যাদা।
বর্তমান সময়ে এসে হিউজের রেখে যাওয়া সেসব ঐতিহ্যের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ২০১৬ সালে আরেকটি সিনেমা মুক্তি পায়, যার নাম ‘দ্য এজ অব সেভেনটিন’ নামের হাস্যরসাত্নক, অম্লমধুর গল্পের এক সিনেমা।সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কেলি ফ্রিমন ক্রেইগের। একধারে কমেডিনির্ভর, বাস্তবধর্মী এবং দর্শকের চাহিদামতো নির্মিত এ সিনেমাটি সাড়া ফেলেছে চারদিকে। কিশোর জীবনে নানান বাধা, নিজেকে চেনা, নিজের বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া, আশে-পাশের মানুষের সাথে মানিয়ে না চলা, আত্নবিশ্বাসের অভাব, স্কুল কলেজের মোটামোটা বই, প্রেশার কুকারের মতো চাপ, অনীহা, বুলিং, উদ্বেগ সবকিছু দারুণভাবে ফুঁটে উঠেছে এই সিনেমায়। ।
পরিচালক ফ্রিমন এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকের বলেন, হিউজের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাহিত হয়েই আমি এ সিনামাটি বানিয়েছি। যারা ‘কামিং অফ এইজ’ এর মতো সিনেমা পছন্দ করেন তাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন হেইলি স্টেইনফেল্ড, উডি হ্যারেলস, হ্যালিলু রিচার্ডসনসহ আরও অনেকে। বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা, হরমন পরিবর্তন, বয়সের অপরিপক্কতা, ভুল সিদ্ধান্ত এসব ঘটনা নিয়ে দুর্দান্তভাবে সাজানো হয়েছে সিনেমাটি। এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এ পর্যন্ত আয় করেছে ১৯.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১০৪ মিনিটের এই সিনেমাটি সবাইকে আনন্দ দেবে, সেইসঙ্গে আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে আপনার কিশোর জীবনে।