ফার্নিচার শিল্প এগিয়ে নিতে সরকারি প্রণোদনা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ফার্নিচার রপ্তানিতে উৎসাহ প্রদানের জন্য সরকার চলতি বছর ১৫ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। বিশ্ব ফার্নিচার বাজারে বাংলাদেশের রফতানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য যে কয়েকটি পণ্য রপ্তানির উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে, ফার্নিচার তার মধ্যে একটি। দেশে ফার্নিচার শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
বাণিজ্যসচিব হেদায়েতউল্লাহ আল মামুন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় বসুন্ধরায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ফার্নিচার মেলা-২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি ৫ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে।
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের ফার্নিচার শিল্প দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ফার্নিচার রপ্তানি করেছে ৩৮.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮.৮০ শতাংশ হারে। এ শিল্পকে আর ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ফার্নিচার শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার আন্তরিকতার সাথে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।’
বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ সফল করতে এ শিল্পের রপ্তানি বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২১ সালে এ শিল্পের রপ্তানি ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ পরিকল্পনা সফল করতে সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। সরকার রূপকল্প ২০২১ সফল করতে দেশের রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে লক্ষ্যে সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন।’
মেলায় দেশের ২৬টি ফার্নিচার উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেছে। আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম এইচ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা, গেস্ট অফ অনারের বক্তব্য রাখেন ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কে. এম. আকতারুজ্জামান।