কুমড়াবড়িতে বাড়তি আয়
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
যশোরের মনিরামপুর পৌরশহরের হাকোবা গ্রামের অনিমা কুণ্ডু, লক্ষ্মীরানী মণ্ডল, বাসনা মণ্ডল, স্মৃতি রানী, সাধনা কুণ্ডু এখন আর সংসারের বোঝা নয়। এখন তারা ‘কুমড়াবড়ি’ তৈরির পর বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। তাদের দেখাদেখি সুষমা রানী, জোসনা রানী, পূর্ণিমা রানী, অঞ্জলী রানীসহ হাকোবা গ্রামের শতাধিক নারী কুমড়াবড়ি তৈরি করে বাজারজাত করে আসছেন। এসব নারী কুমড়াবড়ি বিক্রি করে এখন সাবলম্বী। বিশেষ করে শীত মৌসুমে মনিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, যশোর, খুলনা, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সুস্বাধু এ কুমড়াবড়ির বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে হাকোবা গ্রামের এ পাড়া এখন ‘বড়ি পল্লী’ হিসেবে পরিচিত।
মৃত প্রফুল্ল কুণ্ডুর স্ত্রী অনিমা রানী কুণ্ডু সংসারে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন বড়ি তৈরির কাজ। বড়ি তৈরির উপকরণ হিসেবে সাধারণত ব্যবহার হয়ে থাকে ঠিকরি কলাই এবং চালকুমড়া। অনিমা কুণ্ডু জানান, ইদানীং ঠিকরি কলাইয়ের সঙ্গে চালকুমড়া ছাড়াও মুলা, কচু, পেঁপেসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার হয়ে থাকে বড়ি তৈরিতে। ঠিকরি কলাই পানিতে ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে এবং অন্যান্য উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঢেঁকি দিয়ে বিশেষ মণ্ড তৈরি করা হয়। যদিও এখন মেশিনে মণ্ড তৈরি করা হচ্ছে। তারপর সেই মণ্ড দিয়ে হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় ছোট ছোট করে বড়ি তৈরি করে নরম কাপড়ের ওপর রেখে রোদে শুকানো হয়। শুকনা এই বড়ি বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে (গোল আলুর আদলে) রান্না অথবা ভাজি করে খাওয়া যায়। এ বড়ি খেতে খুবই সুস্বাধু।
দিন দিন এলাকায় এ বড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনিমা রানীর বাড়তি আয় হচ্ছে। আর অনিমার দেখাদেখি এ গ্রামের শতাধিক নারী বড়ি তৈরি করে বাজারজাত করে এখন স্বাবলম্বী। অনিমা রানী জানান, বড়ি বিক্রি করে তার প্রতিদিন চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা আয় হচ্ছে।