বেকারত্ব তাড়াচ্ছে কোয়েল পাখির খামার
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ঝিনাইদহ জেলায় কোয়েল পাখির খামার গড়ে যুবকরা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। গ্রামে গ্রামে ছোট্ট পরিসরে নিজ বাড়িতে কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলছে তারা। দিনে দিনে কোয়েল পাখির লালন পালনের সংখ্যা বাড়ছে। আর এর মাধ্যমে জেলার যুবকরা স্বাবলম্বী হচ্ছে।
কোয়েল জাপানী প্রজাতির পাখি। বেশ কয়েক বছর আগে আমাদের দেশে আসে। প্রথমদিকে স্বল্প পরিসরে কোয়েল পাখির লালন পালন করা হতো। এখন বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পাখির পালন হচ্ছে। এর সঙ্গে অনেকে লাভবার্ড, তিতির ও টার্কিশ মুরগি পালন শুরু করেছে। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। স্বল্প পুঁজিতে কোয়েলের খামার গড়ে তোলা যায়। অনেক যুবক লাভের টাকায় খামারের পরিধি বাড়াচ্ছে। বসতঘরের পাশে ছোট্ট খামার গড়ে তুলেছে কেউ কেউ। আবার কেউ বাড়ির ছাদে খামার করেছে। কোয়েল পাখি সারা বছর জুড়ে ডিম দেয়। এর মাংসও সুস্বাদু। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চরসোনদাহ গ্রামের এসএম কায়েস আল মামুন জানান, লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পিছনে না দৌড়ে বাড়ির ছাদে একটি কোয়েল পাখির খামার গড়েছেন। বর্তমানে ৫শ’র মতো পাখি আছে। প্রতিদিন প্রায় ৪’শ ডিম দেয়। কোয়েলের ডিম ও পাখি বাজারজাত করায় কোনো সমস্যা নেই। হাঁস-মুরগির ডিমের পাশাপাশি কোয়েলের ডিম বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি প্রতি পিস ডিম দু’টাকা ও এক পিস কোয়েল পাখি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাতে তার প্রতিদিন ছয়/সাত টাকা আয় হয়। কোয়েলের পাশাপাশি টার্কিশ মুরগি ও তিতির পালন শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে ভালো আয় হচ্ছে।
অপর কোয়েল খামার মালিক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বাড়িতে কোয়েল খামার করেছেন। তার দেড় হাজার পাখি আছে। স্বল্প পুঁজি খাটিয়ে দিনে হাজার টাকা লাভ থাকে। বেকার বন্ধু-বান্ধবদের খামার গড়তে উত্সাহিত করছেন।