তৈরি পোশাক খাতে আশার বছর
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
তৈরি পোশাকের জন্য আশীর্বাদের বছর হতে পারে ২০১৭ সাল। ভাবমূর্তি ও রফতানি আয় এ দুই বিবেচনায় পোশাক খাতের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বছর হবে এটি। এরকম আশাবাদ উদ্যোক্তা ও বাণিজ্য বিশ্লেষকের। অভ্যন্তরীণভাবে সংস্কারে ব্যাপক অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবাধ বাণিজ্যবিষয়ক ট্রান্সপ্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি বাতিলের ঘোষণাসহ অন্তত আধাডজন কারণ রয়েছে এ রকম আশাবাদের পেছনে। তবে প্রশ্নাতীতভাবে সংস্কার শেষ করাসহ নতুন বছরে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকদের মতে, নতুন বছরে বাংলাদেশের পোশাকের সুবিধাজনক অবস্থানের অন্য কারণের মধ্যে রয়েছে আমদানিতে সব দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে প্রস্তাব। প্রস্তাবটি পাস হলে এত দিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া দেশগুলোকেও ১০ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে। শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের তালিকায় না থাকায় বাংলাদেশি পণ্যকে গড়ে ১৬ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে চীনের পণ্যের ওপর বড় হারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। এর বাইরে দেশে অনুকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পরিবেশসম্মত এবং সাশ্রয়ী উৎপাদন, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে আশানুরূপ গতি পাবে এ খাত।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, নতুন বছর পোশাক খাতে অনেক আশার আলো দেখছেন তারা। এর আগে কখনও এরকম অনকূল পরিবেশ দেখা যায়নি। টিপিপি বাতিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর ভিয়েতনামমুখী ক্রেতারা আবার বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করেছেন। নতুন বছর নিয়ে বড় আশার অন্য কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, দুই ক্রেতাজোট মার্কিন অ্যালায়েন্স এবং ইউরোপের অ্যাকর্ডের তত্ত্বাবধানে সংস্কারে বিশাল বিনিয়োগ করেছেন উদ্যোক্তারা। উন্নয়ন অংশীদার এবং ক্রেতারা সেই স্বীকৃতিও দিয়েছেন। নতুন বছরে সেই সুফল পাওয়া যাবে। তবে নতুন বছরে চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মুদ্রার বিনিময় হারের প্রতিকূলতা, অবকাঠামো সংকট- সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে সহযোগিতা পাওয়া গেলে পোশাক খাতের সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি উপকৃত হবে।
সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের মতে, নতুন বছর বাংলাদেশের রফতানি খাতের জন্য হবে অত্যন্ত ইতিবাচক। বিশেষ করে তৈরি পোশাকের জন্য। কারণ, এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য এখন খুবই অনুকূল। টিপিপি বাতিলের ঘোষণা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অনূকুল হতে পারে।