ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি: দেশ পেরিয়ে বিদেশে
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ঠাকুরগাঁও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এবার শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। চাহিদার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এদিকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখানকার সবজি যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার ৫ হাজার ২৫৪ হেক্টর জমিতে এবার শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। এখান থেকে ৭০ হাজার টন সবজি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে কিছু সবজির। সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক সোহরাব আলী, মফিজ উদ্দিন ও আষাঢ়ূ বর্মণ জানান, এবার শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলাসহ অন্যান্য সবজির ভালো ফলন হয়েছে। সবজি আবাদ করতে তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি বলেও জানান তারা।
সদর উপজেলার আকচা গ্রামের সবজিচাষি শমসের আলী, কামরুল ইসলাম, লুৎফর রহমান ও মজিবর রহমান জানান, শীতকালীন সবজি চাষে খরচ বাদ দিয়ে একরপ্রতি লাভ হয় ৫০-৭০ হাজার টাকা। কিন্তু স্বল্প সুদে ঋণ না পাওয়ায় লাভের অঙ্ক ধরে রাখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া কিছু কিছু ব্যাংক ২০-৫০ হাজার টাকার বেশি ঋণ দেয় না। এতে ইচ্ছামতো চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কম সুদে ঋণ পেলে এখানে আরও বড় পরিসরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শীতকালীন সবজি আবাদ করে লাভবান হওয়া সম্ভব।
ঠাকুরগাঁও শহরের রোড এলাকার সবজির পাইকার রফিকুল ইসলাম জানান, শীতকালীন সবজি কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে তারা লাভবান হচ্ছেন। এ সময় সবজি উঠলে ক্ষেতে এর দাম কম থাকে। তাই সরাসরি ক্ষেত থেকে সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠান তারা। এতে বেশ লাভ হয়। পাইকারদের পাশাপাশি কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জানান, স্থানীয় কৃষকরা সম্প্রতি এ জেলায় ধান চাষ করে তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না। এ কারণে তারা শীতকালীন সবজি চাষ করছেন। এতে তারা লাভবান হচ্ছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার শীতকালীন সবজির ভালো ফলন হয়েছে। সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ও ফলন বাড়াতে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।