গল্পটা মাছচাষী মোহসীনের
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
তেলাপিয়া মাছ চাষ করে সদর উপজেলার তিরছা গ্রামের মৎস্যচাষি মহসীন কবীর রুবেল স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। মাত্র ৫০ শতক আয়তনের পুকুরে দেশি প্রজাতি মাছের সঙ্গে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের চাষ করে তিনি বেশ সফল হয়েছেন।
পাকুরিয়া ইউনিয়নের এই মৎস্যচাষি জানান, বছরে একই পুকুরে তিনবার এ প্রজাতির মাছ চাষ করা যায়। মাছের চারাপোনা ছাড়ার পর মাত্র ১২০ দিনের ব্যবধানেই তেলাপিয়া মাছ বিক্রয় উপযোগী হয়ে উঠে। তিনি জানান, তার পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম পর্যায়ে তেলাপিয়া মাচের চাষ করে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে তিনি এক লাখ টাকা লাভ করেছেন। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে তেলাপিয়া মাছের চাষ চলছে। ১২০ দিন পূর্ণ হতে এখনো তিন সপ্তাহ বাকী। ইতোমধ্যেই ৪টি তেলাপিয়া মাছের ওজন এক কেজিতে উন্নীত হয়েছে। অবশ্য এজন্য তাকে নিয়মিতভাবে মাছের খাবার, পরিচর্যা ও রোগ বালাই দেখা না দেয় সেজন্য নজর রাখছেন। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য বিভাগ থেকেও তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান। তার এ সাফল্যে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে এই এলাকা ও আশপাশের গ্রামের চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে সদর উপজেলা মত্স্য বিভাগ গত বুধবার মাঠ দিবসের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্থানীয় মত্স্য চাষি আব্দুর রউফ চাঁন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম, কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম, মৎস্য চাষি মহসীন কবীর রুবেল, আলমগীর কবীর, মিজানুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার, আব্দুর রশীদ মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তিরছা ও আশপাশের গ্রামের শতাধিক মৎস্য চাষি ও আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।