সোহেলের সামাজিক বাজার ব্যবস্থা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
আমিও ডটকম বাংলাদেশের প্রথম সামাজিক বাজার ব্যবস্থা। অনলাইনে aamio.com ঠিকানার এই ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি কেনাকাটাও করা যায়। এটি পরিচালনা করছে দেশি প্রতিষ্ঠান প্রকৃতি ইনকর্পোরেশন, যা আমেরিকাতেও নিবন্ধিত।
আমিও ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল তালুকদার। প্রকৃতি ইনকর্পোরেটেরও প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তিনি। গত ৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে আমিও ডটকম, যেটির গল্প জানা গেল সোহেলের কাছ থেকে।
সোহেল জানান, একসময় তিনি আমেরিকা ভিত্তিক ই-কমার্স সাইট ই-বে’র বিক্রেতা হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালের দিকে, তখন তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। ক্রেতাদের ৯০ ভাগ ছিল আমেরিকান আর বাকি দশভাগ বিভিন্ন দেশের। ২০১৫ সালের দিকে তিনি ভাবেন, বাংলাদেশে ই-বের মতো কিছু করা যায় কি না। যেখানে মানুষ নিশ্চিন্তে কেনাকাটা করবে, বাংলাদেশের পণ্য বিদেশে অনলাইনে বিক্রি হবে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকবে। কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তারা কাজে নেমে পড়েন। সবশেষে যাত্রা শুরু হয় আমিও ডটকমের।
সোহেল জানান, বিদেশে বেশিরভাগ অনলাইন কেনাকাটায় সম্পূর্ণ মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। তারা শতভাগ গ্রাহক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এখানেও তেমনি পণ্যের দাম অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। তারা শতভাগ গ্রাহক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন। এছাড়া ওয়েবসাইটটিতে ব্যবহারকারী তার প্রোফাইল লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, স্ট্যাটাস আপডেট, লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ রাখতে পারেন এবং পয়েন্ট পান। এর মাধ্যমেও কেনাকাটা করতে পারেন। উদ্যোক্তারাও আমিও ডটকমের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন।
জানা গেল, সামাজিক যোগাযোগ ও অনলাইনে কেনাকাটাকে একই জায়গায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা থেকেই আমিও ডটকমের যাত্রা। এখন তারা ক্রেতাদের বিশ্বাস অর্জন করার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন।
সোহেল জানান, নতুন উদ্যোক্তাদের সাহস দেওয়ার লোকের খুব অভাব। একটু অনুপ্রেরণাও একজন নতুন উদ্যোক্তার জন্য অনেক কিছু। তবে সমস্যা ছিল, আছে, থাকবে। এসব পেরিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া তিনি বলেন, ‘অল্প ক’দিনে আমিও ডটকম ভালো পরিচিতি পেয়েছে। ফোনে, ফেসবুকে, ই-মেইলে অনেকে উত্সাহ দিচ্ছেন।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমারা চাই আমিও ডটকমের মাধ্যমে শত শত উদ্যোক্তা তৈরি হোক। উদ্যোক্তারা নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ক্রেতারা নিশ্চিন্তে আমিও ডটকমে কেনাকাটা করছে। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা করব। আমাদের দেশীয় পণ্যগুলো বিদেশের বাজারে ছড়িয়ে দিতে চাই।’