তরুণ উদ্যোক্তাদের গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সামিটে অংশগ্রহণ
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশ থেকে গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সামিটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সাজিদ ইকবাল। গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ও বাংলা শক্তি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জানিয়েছেন সম্মেলনে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সামিটে অংশগ্রহণকারীদের সবাইকেই আবেদন-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একরকম বৃত্তি দিয়ে নিয়ে যায়। যাওয়া-আসার খরচ থেকে শুরু করে ভিসার ব্যবস্থাও তারাই করে। আমার সৌভাগ্য, এঁদের মধ্যে আমার জায়গা হয়েছিল। আমি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে এর আওতায় ছিলেন আফরোজ চৌধুরী নামের একজন নারী উদ্যোক্তা।
বাংলাদেশ থেকে আমরা গিয়েছিলাম প্রায় ১০ জনের একটি দল। আগেও কয়েকটা উদ্যোক্তা সম্মেলনে গিয়েছি, কিন্তু এটা একেবারেই আলাদা। পুরো বিশ্বের বাছাইকৃত উদ্যোক্তারা আসেন। অনেক নামী-দামি ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও দেখা হয়। আমার যেমন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ আর তরুণ তিন উদ্যোক্তাকে নিয়ে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা একটা আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন। আলোচনা অনুষ্ঠান বললে যেমন ক্লান্তিকর কিছু মনে হয়, এটা মোটেই সে রকম ছিল না। ওবামার রসবোধ খুবই ভালো। পুরোটা সময় তিনি হেসেছেন, হাসিয়েছেন। দর্শকদের কেউ ভিডিও করছিল, ছবি তুলছিল, কেউ টুইট করছিল।
সম্মেলনে যাওয়ার আগে ব্যক্তিগতভাবে আমি কয়েক দিন ধরে একটু হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কীভাবে নিজের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেব, সব ঠিকঠাকভাবে কাজ করবে কি না…ভেবে দিশেহারা লাগছিল। ওখানে গিয়ে মনে হলো নতুন করে শক্তি পেলাম।