ব্যর্থ প্রেমিক, সফল উদ্যোক্তা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
জীবনে সফল হতে হলে অনুপ্রেরণা লাগে। সেই অনুপ্রেরণার খোঁজে মানুষ নানা দিকে চোখ রাখে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফল ব্যাক্তিরাই অনুপ্রেরণা হোন নবীন উদ্যোক্তাদের। তবে কখনো কখনো চলচ্চিত্রও হতে পারে উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এমনই এক চলচ্চিত্রের নাম ‘দ্য সোশাল নেটওয়ার্ক’।
প্রেমিকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে প্রেমিককে-এমন এক দৃশ্য দিয়ে শুরু হয় চলচ্চিত্রটি। তারপর দেখা যায় প্রেমিকার বিচ্ছেদ বেদনা ভোলার জন্য প্রেমিক তরুণ নিজের অনুভূতি লিখে যাচ্ছেন ব্লগে। এক সময় হার্ভার্ড পড়ুয়া এই ব্যর্থ প্রেমিক একটি ওয়েবসাইটই তৈরি করে ফেলেন। নাম দেন ‘ফেসম্যাশ’। কয়েক দিন পরই প্রেমিক তরুণ বুঝতে পারেন তিনি এক বিস্ময়কর কাণ্ড করে ফেলেছেন। হার্ভার্ডের প্রায় সবার মুখে মুখে ফেসম্যাশ।
ফেসম্যাশের খবর পৌছে যায় ক্যামেরন ও টেইলর নামে দুই বন্ধুর কানে। তারাও হার্ভার্ড শিক্ষার্থী। দুই বন্ধু মিলে দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করছিলেন হার্ভার্ড কানেকশন নামে একটি নেটওয়ার্ক সাইট তৈরি করার। তারা ছুটে যান ব্যর্থ প্রেমিকটির কাছে। বলেন, যোগ দাও আমাদের সাথে।
প্রথমে রাজি হন বটে, কিন্তু কিছু দিন পরই বন্ধু স্যাভেরিনকে গিয়ে বলেন, ইচ্ছে করলে আমরাই কিন্তু বানাতে পারি একটি স্বতন্ত্র সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। স্যাভেরিন বলেন, আইডিয়াটা মন্দ না। চলো শুরু করা যাক। অতঃপর শুরু হয়ে গেল ‘ফেসবুক’ সাইটের পথচলা!
হ্যাঁ, বিশ্বের সবচেয় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের পথচলার শুরু এভাবেই। আর এই সত্য ঘটনা অবলম্বনে ২০১০ সালে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। এই চলচ্চিত্রে মার্ক জাকারবার্গের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেসি আইসেনবার্গ।
কাহিনীর এক পর্যায়ে ব্যর্থ প্রেমিকটি তার তৈরি করা ফেসবুক থেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় সাবেক প্রেমিকাকে। তারপর…। পুরোটা বললে তো আর মজা থাকবে না। তারচেয়ে সময় করে বসে পড়ুন দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক দেখতে। আর অনুপ্রাণিত হোন উদ্যোক্তা হওয়ার।