গরুর হাড় রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
জবাইয়ের পর একটি গরুর আকারভেদে ১৫ থেকে ২৫ কেজি হাড় ফেলে দেওয়া হয়। অথচ এসব হাড় সংগ্রহ করে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যবসা হয়। এই হাড় রপ্তানিতে ব্যবসায়ীরা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বছরে শতকোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। চীন ও থাইল্যান্ডে গরুর হাড়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কলাবাগানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-২০১৬-একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে পবা।
বক্তারা বলেন, হাড় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে হাড়ের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। হাড় দিয়ে ওষুধ, সিরামিক পণ্যসামগ্রী, বোতাম ও ঘর সাজানোর উপকরণ তৈরি করা হয়। কিন্তু অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। অথচ কোরবানিসহ সারা বছর জবাই করা গরুর হাড়ের মূল্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এ ছাড়া আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেওয়া শিং, নাড়িভুঁড়ি, চর্বি বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের চামড়াশিল্প ব্যবসায়ীদের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর সারা দেশে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে গরু প্রায় ৪০ লাখ। ছাগল, ভেড়া ও মহিষ প্রায় ৭০ লাখ। বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে কোরবানি না হলে পশুর মাংস ময়লা ও জীবাণুমুক্ত হবে না। পশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি, হাড় ও অন্যান্য উচ্ছিষ্টাংশ সার, বোতাম, চিরুনি, মৎস্যখাদ্য, পশুখাদ্যসহ বেশ কিছু শিল্পে ব্যবহার করা যাবে।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধের আলোকে বক্তব্য তুলে ধরেন পবার সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেলিন চৌধুরী, সহসম্পাদক শাহীন আজিজ, মো. সেলিম, সদস্য তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।