নার্সারিতে চারা বিক্রি জমে উঠেছে
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
পুরো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এবার রূপান্তরিত হয়েছে নার্সারি জেলায়। মৌসুম শুরুর দিন থেকেই অর্থাৎ বর্ষা শুরুর অনেক আগে থেকেই এবার পুরো জেলাজুড়ে নার্সারি ব্যবসা জমে উঠেছে। মৌসুম প্রায় শেষের পথে, ইতোমধ্যেই মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তন হলেও জলবায়ুর প্রভাবে অক্টোবর মাস পড়ার পরও হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ শরত উঁকি দিলেও সরকারী ও বেসরকারী নার্সারিতে বাড়ছে মানুষের ভিড়।
সবার চাহিদা বিভিন্ন বনজ ও ফলজ চারার প্রতি। বিশেষ করে দেশের সর্ববৃহত হর্টিকালচার সেন্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জের কল্যাণপুর ও সাবেক আম গবেষণাগার ও বর্তমানে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিক্রয় বিভাগ হিমশিম খাচ্ছে চারা বিক্রির ভিড়ে বা চাপে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কল্যাণপুরস্থ হর্টিকালচার সেন্টারে শুধু আমের জাত রয়েছে প্রায় ৮৬ প্রকারের, এছাড়াও অন্যান্য জাত রয়েছে ৮৪টি। কমবেশি প্রতিটি জাতের কলম বা গুটি চারা তৈরির চেষ্টা করে থাকে এই হর্টিকালচার সেন্টার। পাশাপাশি আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাগার অধিক পরিমাণে চারা তৈরি করে আমের।
এর মধ্যে জয়দেবপুর বারি গবেষণাগার থেকে উদ্ভাবিত একাধিক জাতের চারা তৈরি করলেও তা কোনভাবেই ১০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে না। তবে হর্টিকালচার সেন্টার রেকর্ড পরিমাণ চারা তৈরি করে থাকে। যার পরিমাণ অর্ধলাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে কলম করা চারার পরিমাণ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজারের কাছাকাছি। অর্থাৎ এই হর্টিকালচার সেন্টার প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ টাকা আয় করে থাকে শুধু চারা বিক্রি করে। যদিও প্রতিটি চারা গড় হিসাবে বেসরকারী নার্সারির মূল্যের চেয়ে এক পঞ্চমাংশ কম মূল্যে বিক্রি হয়। তারপরও এই সেন্টারে লেট ভ্যারাইটিজ হিসেবে পরিচিত আম গোড়মতির চারার চাহিদা বেশি হলেও এ বছর গ্রাহকদের চাহিদা মোকাবেলা করতে পারছে না। এর পাশাপাশি রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আমের চারার চাহিদাও রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ সূত্র নিশ্চিত করেছে এ বছর হাড়িভাঙ্গা চারা যে হারে চাহিদা রয়েছে তা পূরণে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আগামী বছর এর মোকাবেলা করতে অসুবিধা হবে না। স্থানীয় ও বহিরাগতদের অধিক চাহিদা আম্রপালি, লাংড়া, গোপালভোগ ও ক্ষিরশাসহ ৭-৮ জাতের কলমের। যার সিংহভাগ হর্টিকালচার মেটাতে পারছে বলে বোঝা যাচ্ছে। তবে সাবেক আম গেবেষণাগার যা বর্তমানের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র সেই তুলনায় তেমনভাবে চারা বিক্রিতে সরব হতে পারেনি। তাদের চারার দাম বেশি, পাশাপাশি মানের দিক দিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ। তবে দুটি প্রতিষ্ঠান কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন হলেও বারি নিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গেবেষণাগার এখন পর্যন্ত হর্টিকালচার কেন্দ্রের সমকক্ষ হতে পারেনি। দুটি প্রতিষ্ঠানের সমঞ্চয়ের অভাব রয়েছে অনেক বেশি।