ই-গার্বেজ থেকে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
সারা বিশ্বে প্রতিবছর যে পরিমাণ টেকবর্জ্য তৈরি হয় সেগুলো পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশের সব ইলেকট্রিক বর্জ্য রাজধানীর তুলনামূলক নিম্নআয়ের মানুষের এলাকায় গেলে দেখা যায় কীভাবে স্তূপাকারে জমা হচ্ছে। এসব পরিত্যক্ত বর্জ্য ক্রমশ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এবার এ জাতীয় বর্জগুলোকেও রিসাইকেল করে কাজে লাগানোর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
শুধু ধাতব পদার্থ নয়, প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত বর্জ্য পদার্থ থেকেও নতুন ‘অর্থনৈতিক সুযোগ’ সৃষ্টি করা ‘সম্ভব’- এমনটাই জানিয়েছেন এক ইন্দো-অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী। বর্জ্য পদার্থকে দরকারি কোনো কিছুতে রূপান্তরের উপায় খুঁজছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার ফোর সাসটেইনেবল মেটেরিয়ালস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ভিনা সাহাজওয়াল্লা বলেন, অধাতব বর্জ্যকে আমরা হয় পরিবেশের বোঝা হিসেবে বিবেচনা করতে পারি অথবা একে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগেও পরিণত করতে পারি।
সাহাজওয়াল্লা পলিমার ইনজেকশন টেকনোলজি (পিআইটি) নামের এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘গ্রিন স্টিল’ বানাতে কয়লা সরাতে পরিত্যক্ত রাবারের টায়ার ব্যবহার করা যায়। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী টায়ারের বর্জ্য ধ্বংস করা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। এটি মোকাবেলায় গ্রিন স্টিল একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে।
পিআইটি বা ‘গ্রিন স্টিল’ প্রযুক্তি, প্রচলিত স্টিল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় একটি পরিবর্তন যোগ করেছে বলে জানিয়েছে আইএএনএস।
পরিত্যক্ত টায়ার হাইড্রোকার্বনের জন্য একটি ভালো উৎস। এর মানে হচ্ছে এটি ইএএফ স্টিল তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে, আধুনিক টায়ারগুলো মূলত রাবার পণ্য হওয়ায় সেগুলোতে প্রাকৃতিক আর রাসায়নিক পণ্যের মিশ্রণ রয়েছে। আর এতে ধাতু আর রাসায়নিক যৌগের মতো কাঠামোগত অনেক উপাদান আছে যেগুলোর কারণে প্রচলিত প্রক্রিয়ার চেয়ে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।
এই প্রযুক্তি শুধু দূষণ নিয়ন্ত্রণই নয়, সেইসঙ্গে ভারতে ধাতু আর অবাঞ্ছিত টুকরা থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেক উপায় পাওয়া যেতে পারে বলে জানান ওই বিজ্ঞানী।