দেশে দুধের ঘাটতি পূরণে দুগ্ধ খামারের বিকল্প নেই
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে দুধের চাহিদার মাত্র ২০ ভাগ উৎপন্ন হয়, ঘাটতি থাকে ৮০ ভাগ। এই ৮০ ভাগ দুধ গুঁড়ো দুধ আকারে আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
ফরিদপুরে গাভী ক্রয় ঋণের চেক বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরতলীর বদরপুর স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বাসভবন আফসানা মঞ্জিল চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলে, বর্তমানে জমি চাষে গরুর পরিবর্তে ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ করা হচ্ছে। গরু শুধু আমাদের চাষাবাদেই কাজে লাগে না। গরুর দুধ শিশুদের প্রধান খাদ্য, গরুর মাংস আমাদের খাবার জোগান দেয়, কোরবানিতেও আমরা গরু কোরবানি দেই। দেশে গরুর উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য দুগ্ধ খামারের কোন বিকল্প নেই।
দুগ্ধ সমবায় সমিতির কার্যক্রম বিস্তৃতিকরণের মাধ্যমে বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা জেলার দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেলে প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লি.-এর সদস্যদের মাঝে গাভী ক্রয় ঋণের চেক বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবরের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মোঃ মফিজুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দৌলতআনা আক্তার প্রমুখ।
পাটকাঠি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক
নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ মাগুরায় পাটকাঠির কদর বেড়েছে। কৃষকরা পাটকাঠি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। জ্বালানি হিসেবে পাটকাঠির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতি রিক্সাভ্যান পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫ শ’ টাকা দরে। পানের বরজ তৈরিতে পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা থাকায় জেলা থেকে পাটকাঠি খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় চালান যাচ্ছে। জেলায় বেশ কয়েকটি পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছিল। ফলনও হয়েছে মোটামুটি। প্রতিমণ (৪০কেজি) পাট ১৫ শ’ থেকে ১৬ শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই দামে পাট বিক্রি করে কৃষকের তেমন লাভ থাকছে না সেই কারণে কৃষকরা পাটকাঠি বিক্রি পাটের ঘাটতি পূরণ করছেন। পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় প্রতিভ্যান পাটকাঠি ৪শ’ থেকে ৫ শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় ভ্যান হলে দাম আরও বেশি। শহরে ভ্যানভর্তি পাটকাঠি এলে মুহূর্তে বিক্রি হয়ে যায়। পানের বরজ তৈরিতে পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুলনা, বরিশাল প্রভৃতি জেলায় চালান যাচ্ছে। ট্রাক ও নৌকাযোগে পাটকাঠি চালান দেয়া হয়। এছাড়া পার্টেক্স কারখানায় পাটকাঠি ব্যবহার করা হয়। অনেক কৃষক উচ্চ মূল্যের আশায় পাটকাঠি সংরক্ষণ করে রাখছেন। পাটকাঠির দাম ভাল হওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় জেলায় পাটকাঠির কদর বেড়েছে কয়েকগুণ । জেলায় বেশ কয়েকটি পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই তৈরির কারখানা গড়ে ওঠায় পাটকাঠির কদর বেড়েছে কয়েকগুণ।