ঠোঙ্গার কারখানা থেকে আয়
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ভাঙ্গারির দোকান থেকে কাগজ কিনতে পারেন। পঞ্চাশ কেজি ঠোঙ্গা বানাতে লাগবে তিন কেজি আটার সঙ্গে পানি মিশিয়ে আগুনে তাপ দিয়ে বানানো আঠা। দুই কেজি, দেড় কেজি, আধা কেজি ও পোয়া কেজি এই চার সাইজের ঠোঙ্গা বেশি চলে। তাই কাগজ কিনে যে ঠোঙ্গা বানাবেন তা মাপমতো কেটে নিতে হবে। আকার ঠিক রাখতে প্রয়োজনে বাজার থেকে নির্দিষ্ট মাপের একটা করে ঠোঙ্গা সংগ্রহে রাখতে পারেন। ঠোঙ্গার তলায় দেওয়ার জন্য সাইজমতো চারকোনা কাগজ কেটে নিতে হবে। একপাশে ঠোঙ্গার ও তলার কাগজ অন্যপাশে আঠা নিয়ে বসে যেতে হবে। সাইজ করা কাগজগুলো গোল করে দুই মাথা আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। অনেকটা পাইপের মতো দেখাবে। চাপ দিয়ে ভাঁজ করে ওজনদার কিছু দিয়ে চেপে রাখতে হবে। চেপে রাখা কাগজের ভাঁজ পড়া দুই পাশ আঙুলে চাপ দিয়ে পাইপের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে। এখন আড়াআড়ি দুই পাশ ভেতরের দিকে আর দুই পাশ বাইরের দিকে থাকবে। চারকোনা করে কেটে রাখা একটা কাগজ ভেতরের ভাঁজের ওপরে রেখে বাইরের দিকে থাকা কাগজ দুটি দিয়ে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। হয়ে গেল কাগজের ঠোঙ্গা। এক শ করে ঠোঙ্গা বেঁধে ফেললেই বিক্রি উপযোগী হয়ে যাবে।
প্রয়োজন পুঁজি
প্রথম দিকে শুরু করতে এক হাজার টাকা পুঁজি হলেই চলবে। ৫০ কেজি কাগজ কিনতে লাগবে ১৮ টাকা করে ৯০০ টাকা। আঠা তৈরি করার জন্য তিন কেজি আটা ২৮ টাকা করে ৮৪ টাকা। দরকার পড়বে বানানোর পদ্ধতি শেখা। এ জন্য ঢাকার গোপীবাগ, যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচরের কারখানাগুলোতে
খোঁজ নিতে পারেন।
কাঁচামাল সংগ্রহ ও লাভ
ভাঙ্গারির দোকানে ব্যবহৃত কাগজ ১৮ টাকা কেজি দরে কেনা যাবে। ৫০ কেজি কাগজে চার সাইজের ঠোঙ্গা হবে ১০ হাজারের মতো। আঠা লাগানোর ফলে ৫০ কেজি ওজনের কাগজের ঠোঙ্গার ওজন একটু বেশিই হয়। চাইলে বিদেশি ম্যাগাজিনের ঠোঙ্গাও বানানো যায়। সে ক্ষেত্রে কাগজ কেনার দামও বেশি পড়বে। দিনে ২৫ কেজি কাগজের ঠোঙ্গা বানানো সম্ভব। বাজারে এক কেজি ঠোঙ্গার পাইকারি মূল্য ৪০ টাকা। সেই হিসাবে ৫০ কেজি ঠোঙ্গার পাইকারি বিক্রয় মূল্য দুই হাজার টাকা। দুই দিনে ৫০ কেজি কাগজের ঠোঙ্গা বানিয়ে এক হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। দোকানে গিয়ে বিক্রি করলে দামটা আরো বেশি পাওয়া যাবে।