কাঁকড়া থেকে আয় ২৫ কোটি টাকা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
বৈদেশিক বাণিজ্যে বেশ ভালোভাবেই স্থান করে নিচ্ছে কাঁকড়া। রফতানি পণ্যের তালিকায় ধীরে ধীরে কাঁকড়ার অবস্থান ও ব্যাপ্তি দুটোই বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কাঁকড়া রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬২ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রফতানি আয় বেড়েছে নয় কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা।
বিভিন্ন দেশে চাহিদা অনেক বেশি থাকায় রফতানিতে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে কাঁকড়া। ছোট কাঁকড়া ঘেরে ছেড়ে ১৫-১৬ দিনেই মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে রফতানিযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। কাঁকড়া ধরার পর কাঁটাওয়ালা পা দুটো বেঁধে বিদেশে জীবন্ত অবস্থাও রফতানি করা হয়।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানি আয় হয়েছে ২৪ কোটি ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে ১৯৭৭ সালে সর্বপ্রথম কাঁকড়া রফতানি হয়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে রফতানি হয় দুই হাজার ৯৭৩ টন। সর্বশেষ অর্থবছরে কাঁকড়া রফতানির পরিমাণ ১৫ হাজার টন ছাড়িয়ে গেছে। এর বড় অংশ পাঠানো হয়েছে চীনে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, জাপান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মিয়ানমার ও ইউরোপের কয়েকটিসহ ১৮ দেশে কাঁকড়া রফতানি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রফতানি সম্ভাবনার কারণে বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষ শুরু হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ এ কাজে জড়িত। স্থানীয় বাজারেও চাহিদা বাড়ছে। প্রতিটি বড় আকারের কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়।