ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে বিএসইসি
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাজারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রজেক্টে বিনিয়োগে আগ্রহী প্রাইভেট এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে বিশেষ আইনী সহায়তা করে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, বড় বড় প্রকল্প পিপিপির মাধ্যমে সহজে বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রশ্নে পিপিপিকে আকর্ষণীয় করতে চাচ্ছে সরকার। এজন্য ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগকারীদের যে কোন ধরনের সহায়তা দিতেও প্রস্তুত সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় অন্য সরকারী নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি বিএসইসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য গত জুন মাসে নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় পিপিপিতে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়াতে বেশকিছু আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। কমিশনের সিদ্ধান্তমতে, পিপিপিতে বিনিয়োগকারী প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকার বেশি বাড়াতে বিএসইসির অনুমোদন লাগবে না।
পাশাপাশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার বেশি বাড়াতে কমিশনের অনুমোদন লাগবে না। শীঘ্রই এ সংক্রান্ত আইন এবং নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির একজন কমিশনার বলেন, কমিশনের এ ধরনের সিদ্ধান্তে পিপিপিতে প্রাইভেট এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিনিয়োগে জটিলতা দূর হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন।
জানা যায়, চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে পিপিপির আওতায় ছয়টি খাতে ৪২টি প্রকল্পের তালিকা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। এরই মধ্যে প্রকল্প সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ তিনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এর বাইরে বেশিরভাগ প্রকল্প এখনও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে।
তবে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে আর কয়েকটি চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কালিয়াকৈরে উচ্চ তথ্যপ্রযুক্তি (হাইটেক) পার্ক, জাতীয় কিডনি ডিজিজ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে দুটি হেমোডায়ালিসিস কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পও চুক্তির অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ অর্থবছরে পিপিপি ঘোষণার পর ২০১০ সালে পিপিপি নীতিমালা ও কৌশল, ২০১২ সালে পিপিপি কারিগরি সহায়তা অর্থায়ন নীতিমালা (পিপিপিটিএএফ) এবং ২০১২ সালে পিপিপিটিএএফ কর্মসূচী এবং গত বছর সর্বশেষ পিপিপি আইন করা হয়েছে। এর বাইরে পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারী খাতকে আকৃষ্ট করতে গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল) নামের একটি কোম্পানি।