ব্র্যান্ডিং হলো মানুষের মনে ঠাঁই নেওয়া
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
‘মার্কেটিং হলো ভোক্তাদের মনে ঠাঁই নেওয়া। একজন ক্রেতা কিংবা ভোক্তার মন জয় করাই মার্কেটিংয়ের প্রধান কাজ। আর এই কাজটিই যিনি ভালো করতে পারেন, তিনিই এই বিষয়ে সফল। প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের মধ্যে পণ্য সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা ও পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই কাজ করি। আর এই কাজটিই আমার বেশ ভালো লাগে।’ মার্কেটিং বিষয়ে এমনটাই বলেন ইউনুস গ্রুপের ডিরেক্টর অব অপারেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং মো. গোলাম জিলানী ভূঁইয়া।
মার্কেটিং বিষয়ে আসতে হলে প্রচুর পড়তে হবে, ক্রেতা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। ক্রেতা সম্পর্কে ধারণার পাশাপাশি অনেক জানতে হবে ও ক্রেতার মন জয় করতে হবে। এই বিষয়টি যিনি যত বেশি পারবেন, মার্কেটিং পেশায় তিনিই তত বেশি সফল হবেন বলেও মন্তব্য করেন গোলাম জিলানী ভূঁইয়া। ভবিষ্যতে দেশের ব্র্যান্ডিং কাজে নিজের বড় একটা জায়গা করে নিতে চান তিনি।
১৯৮১ সালে চাঁদপুরে জন্ম তার। বিএএফ শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর ইনস্টিটিউট অব বিজনেস স্টাডিজ থেকে বিবিএ শেষ করেন। মামার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে মার্কেটিং পেশাকেই বেছে নেন তিনি। শুরুটা ছিল একটি মার্কেটিং কনসালটেন্সি ফার্মে কাজ করার মাধ্যমেই।
ব্র্যান্ড মার্কেটিং সম্পর্কে গোলাম জিলালী ভূঁইয়া নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানান, ব্র্যান্ডই হলো কোম্পানির পরিচয়। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় পণ্যের মান কেমন হতে পারে। প্রথমে কোম্পানির ব্র্যান্ড তৈরির পরবর্তী কাজ হলো ব্র্যান্ড মার্কেটিং। একটা ব্র্যান্ডই ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয় পণ্যের মান সম্পর্কে।
১২ বছর ধরে ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করছি। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি। ক্রেতাদের আচরণ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও চিন্তা নিয়েই আমার কাজ। আর ব্র্যান্ডিং হলো মানুষের মন নিয়ে খেলা। নতুন কোম্পানিতে কাজ শুরু করার প্রথমেই কোম্পানির পরিধি, কাজের ধরন, পরিবেশ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। নিজের কাজের ধরন অনুসারে দায়িত্বে নেমে পড়া। সিনিয়ররা কী আশা করে সেটা বুঝতে হবে। দলবদ্ধ হয়ে কাজ করলে প্রত্যেকের সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। কাউকে খারাপভাবে বিচার না করা। বুঝেশুনে কাজ করতে হবে। কাজ শুরু করার পর নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার সময়, দল পরিচালনা একটি কঠিন কাজ। অনেকেই ব্র্যান্ডিং বিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না। যখন ব্র্যান্ডিং ভালো হবে তখন বিক্রির পরিমাণও বাড়বে। সাফল্য অর্জনের জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করতে হয়। পণ্যের বিষয়ে ক্রেতাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। বিজ্ঞাপন ও বিপণনের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্যের মান বাড়িয়ে তুলতে হবে। ক্রেতাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে পণ্যের মান বাড়ানো। আগ্রহ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে সেলসম্যানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। সঠিক সেলসম্যান নির্বাচন করে তবেই কাজে নামানো উচিত।