গ্রীষ্মকালীন টমেটোতে কৃষকের ভাগ্যবদল
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
মৌলভীবাজারের কৃষি অধ্যুষিত কমলগঞ্জ উপজেলায় সারা বছরই টমেটো চাষাবাদ চলছে। অমৌসুমে টমেটোর গ্রাফটিং চারা উত্পাদন ও বিক্রয় করে সাফল্য লাভ করছেন কৃষকরা। তারা দীর্ঘদিন যাবত্ বন বেগুন গাছের সাথে টমেটোর চারার গ্রাফটিং করে আসছেন এবং সেই চারা বিক্রি করে ভালো লাভের মুখও দেখছেন। আর সারা বছর সেই চারা পেয়ে গ্রীষ্মকালীন সময়েও কৃষকরা টমেটো চাষ করতে সক্ষম হচ্ছেন। অসময়ে উত্পাদিত এসব টমেটো দেশের বিভিন্ন স্থানে ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার আলীনগর, আদমপুর, মাধবপুর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার তিলকপুর, জামিরকোনা, হোমেরজান, নাজাতকোনা, ধলাই পার, নরেন্দ্রপুর, ছয়ছিড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে ২৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদ হয়েছে। এখন শীতকালীন টমেটো চাষেও নেমে পড়েছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ৩০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে টমেটোর আবাদ হতে পারে। তবে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে উত্পাদিত চারা রোপণ করে অসময়ের টমেটো উত্পাদনেই কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। গ্রাফটিং চারা উত্পাদনে কমলগঞ্জের ২০ জন কৃষক সর্বোচ্চ সাফল্য লাভ করেছেন। এদের মধ্যে বরাবরই শীর্ষে ছিলেন এবং আছেন তিলকপুরের ব্রজেন্দ্র কুমার সিংহ। টমেটোর গ্রাফটিং চারা উত্পাদন ও বিক্রয় করে এরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন। এদের অনেকে আবার নিজ জমিতে টমেটো চাষও করছেন।
তিলকপুর গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া জানান, টমেটোর গ্রাফটিং চারা উত্পাদন ও বিক্রি করে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে ২০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেও লাভবান হয়েছেন তিনি। শীর্ষ চারা উৎপাদক ব্রজেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, টমেটোর গ্রাফটিং পদ্ধতি জেনে ১৯৯০ সাল থেকে তিনি টমেটোর চারা উৎপাদন শুরু করেন। ৬০ দিনের বন বেগুন গাছের চারা সংগ্রহ করে ৩০ দিনের টমেটো চারার সাথে গ্রাফটিং করে ৭ থেকে ১০ দিন রেখে বাঁচানোর পর ক্ষেতে চারা লাগানো হয়। রোপণের ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যেই গাছে ফলন আসে। গ্রাফটিং পদ্ধতিতে রোপণ করা প্রতিটি গাছে ফলন হয় গড়ে ৫ কেজি এবং বিঘা প্রতি ফলন হয় ১২ মে:টন।