‘উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করা উচিত’

‘উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করা উচিত’

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের মতো বাংলাদেশি ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাদেরকেও বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এদেশে যে পরিমাণের বৈদেশিক রিজার্ভ এবং বিদ্যুত ও জ্বালানির অপর্যাপ্ততা রয়েছে তাতে এদেশের উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগ করতে দেয়ার উপযুক্ত সময় এখনই। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বৈদেশিক বিনিয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, আইবিএফবি’র পরিচালক ও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ড. মশিউর রহমান বলেন, প্রায় তিন বছর আগে সরকার বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করতে চেয়েছিল, কিন্তু সেসময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ খুব বেশী না থাকার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল। কিন্তু বর্তমানে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ এবং চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়ার সম্ভাবনা জোগাচ্ছে।

আব্দুল মাতলুব আহমাদ উল্লেখ করেন, উদ্যোক্তাকে অবশ্যই দেশের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া উচিত যাতে তারা বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পারে। আর এসব বিনিয়োগকারীকে এখন দেশের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ না দিলে সেটা অত্যন্ত অন্যায্য হবে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমান রপ্তানি নীতি অনুযায়ী একজন রপ্তানীকারককে তার শতভাগ রপ্তানি আয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। কিন্তু রপ্তানীকারকদের মোট রপ্তানি আয়ের কিছু অংশ নিজের কাছে রাখার এবং ক্যাপিটাল একাউন্ট খোলার মাধ্যমে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া উচিত।

ড. মজিবুর রহমান বলেন, বড় ধরনের বৈদেশিক রিজার্ভ দেশের অভ্যন্তরে মুদ্রা সরবরাহ ও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে এ ঝুঁকি কমিয়ে আনা যেতে পারে এবং জাতীয় সঞ্চয় ও বৈদেশিক রিজার্ভের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা যেতে পারে। আইবিএফবি’র প্রেসিডেন্ট হাফিজুর রহমান খান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। আইবিএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment