ইপিজেডে বাড়ছে বিনিয়োগ
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের হার নিন্মগতি হলেও বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ বিভিন্ন অঞ্চলে। বিশেষ করে উত্তরা, ঈশ্বরদী ও মংলা- এই তিন ইপিজেডে আবারও বিনিয়োগ ফিরতে শুরু করেছে। গত তিন বছরে (২০১৪, ২০১৫, ২০১৬) এসব ইপিজেডে বিনিয়োগের লক্ষ্যে ২০টি নতুন প্রতিষ্ঠান বেপজার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখানে মোট ৬৮৪টি শিল্পপ্লট রয়েছে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইতিমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বেপজা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বর্তমানে এই তিন ইপিজেডে ৫০টি কারখানা চালু আছে। এছাড়া আরও ১৯টি শিল্প-কারখানা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব ইপিজেডে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মতো বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে বেপজা। তবে উত্তরা, ঈশ্বরদী এবং মংলা ইপিজেডের জমি ও ভবনের ভাড়া অন্যান্য ইপিজেডের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কম। এছাড়া অন্য ইপিজেডগুলোতে বিনিয়োগে যেখানে বিভিন্ন মেয়াদে পাঁচ বছর কর অব্যাহতি দেয়া হয়, সেখানে এ তিনটি ইপিজেডে বিনিয়োগে কর অব্যাহতি পাওয়া যায় সাত বছর। ফলে এসব ইপিজিডে নতুন বিনিয়োগ এবং বাস্তবায়নাধীন কারখানার সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে বাড়ছে ইপজেডভিত্তিক উৎপাদন, যা শতভাগই রফতানি হয়।
এক হিসাবে দেখা গেছে, গত ১ বছরেই ইপিজেডভেদে রফতানি হয়েছে দ্বিগুণ। বেপজা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, তাদের গৃহীত পদক্ষেপ ফল দিতে শুরু করেছে। এ কারণে অন্যান্য ইপিজেডের তুলনায় এ তিন ইপিজেডে ক্রমে উন্নতিও হচ্ছে।
ইপিজেডভেদে রফতানি হিসাব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নীলফামারী ইপিজেড গত অর্থবছরে মোট ১৮৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে, যা আগের অর্থবছরের ৮৭ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় ২১৪ শতাংশ বেশি। এ সময় কর্মসংস্থান বেড়েছে সাত হাজার ১২৪ জন। ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে গত অর্থবছরে ১১৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ছয় মিলিয়ন ডলার বেশি। এক্ষেত্রে মংলা ইপিজেডের রফতানি ও কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে নেতিবাচক। গত অর্থবছরে এই ইপিজেড থেকে ৭৪ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন ডলার রফতানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার কম। তবে এই ইপিজেডে চালু থাকা ২২টি কারখানার সঙ্গে নতুন করে আরও ১১টি কারখানা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।