অপ্রচলিত সবজি চাষে আর্থিক স্বচ্ছলতা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ফেনীতে কালক্রমে অনেকটা হারিয়ে যাওয়া ঠোয়াস, পানিয়া আদুনি, বিলাতি ধনিয়ার মতো অপ্রচলিত সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। সফলতার পাশাপাশি এসব সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন এখানকার অনেক কৃষি পরিবার।
ঠোয়াস সবজি হিসেবে গ্রামে ও শহরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামের চাষিরা ঠোয়াস চাষে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন। মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের পূর্ব মির্জাপুর গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, ১৫ শতক জমিতে ঠোয়াস চাষ করে গত এক বছরে ৩০ হাজার টাকা আয় করেছেন।
সবজি ও ঔষধি হিসেবে পানিয়া আধুনির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সফরাবাদ গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক ১০ শতক জমিতে পানিয়া আধুনি চাষ করে এক বছরে আয় করেছেন ১৮ হাজার টাকা। সোনাগাজীতে বিলাতি ধনিয়া পাতার ব্যাপক চাষ হয়েছে। বিলাতি ধনিয়ার কচি পাতা ও পুষ্পদ সবজি, সালাদ ও মসলা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। উপজেলার সুলাখালী, লক্ষ্মীপুর, মতিগঞ্জ, চরখোন্দকার, চরচান্দিয়া, সুজাপুর, বগাদানা, চরমজলিশপুর এলাকায় বিলাতি ধনিয়ার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এ বিলাতি ধনিয়াপাতা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা অর্জন করেছেন অনেক কৃষি পরিবার।
উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক করিমুল হক বলেন, উৎপাদিত এ বিলাতি ধনিয়া পাতার গন্ধ বেশ কড়া। পাতার দুই পাশে খাজকাটা সবুজ ও ভারি এ পাতা লম্বায় ১৫ থেকে ২০ সেমি এবং চ্যাপ্টায় দুই থেকে তিন সেমি হয়। একবার বীজ বুনলে এই গাছ কয়েক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। ফলে বার বার পাতা সংগ্রহ করা যায়। মরা বা পুরনো পাতা পরিষ্কার করে আটি বেঁধে বাজারজাত করা হয়।
সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, অপ্রচলিত সবজি চাষে সোনাগাজীর কৃষকরা বেশ আগ্রহী। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আগ্রহীদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সত্তুর ও আশির দশকে অন্যান্য প্রচলিত সবজির মতো এগুলোর গ্রামগঞ্জে ব্যাপক চাহিদা ছিল।