স্টার্টআপের চারদিক

স্টার্টআপের চারদিক

মারুফ ইসলাম : প্রাথমিক অবস্থায় যেকোনো ব্যবসায়ই থাকে খুব নাজুক পরিস্থিতিতে। এসময় একজন উদ্যেক্তাকে ব্যবসার সবদিকে সমানভাবে নজর দিতে হয়। ব্যবসায় বিক্রি বাড়ানো যাবে কীভাবে এটা যেমন তাকে ভাবতে হয় তেমনি কর্মীদের কাছ থেকে কীভাবে সঠিক কাজ আদায় করে নেওয়া যায় সেটা নিয়েও ভাবতে হয় তাকে। বনেদি ব্যবসায়ীরা বলে থাকেন, স্টার্টআপ বিজনেসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অংশ হচ্চে, কর্মীদের অনুপ্রাণিত রাখা। যে কোনোভাবেই হোক, কর্মীদের কাজের প্রতি উৎসাহী করে তুলতে পারলে ব্যবসা দাঁড়িয়ে যেতে সময় লাগে না। তাই কর্মীদের কর্মোদ্যম রাখুন। পাশাপাশি আরও যে বিষগুলোতে নজর রাখতে পারেন:


১. আলোচনায় থাকুন

  • একজন স্টার্টআপ ব্যবসায়ীকে থাকতে হয় সবসময় আলোচনার কেন্দ্রে। আপনার নতুন উদ্যেগ, নতুন প্রকল্প, নতুন পণ্য, সমস্যা, নতুন সম্ভাবনা ইত্যাদির মাধ্যমে সব সময় আলোচনায় থাকুন। মানুষ যেন কোনো না কোনোভাবে আপনার ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করে, সেই ব্যবস্থা করুন। আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপনের জন্য এর চেয়ে ভালো মাধ্যম আর কিছু হতে পারে না।

২. ভুল হতেই পারে, ইটস ওকে…

  • ব্যবসার পথে হাঁটতে গেলে ভুল হবেই। এটা মেনে নিয়েই হাঁটা শুরু করুন। তারপর ভুল থেকে শিখুন। চেষ্টা করুন একই ভুল একাধিকবার না করতে। নিজেকে সবজান্তা ভাববেন না। আপনার কর্মীবাহিনীকেও পৃথিবীর সেরা বাহিনী মনে করবেন না। তারাও কাজ করতে গিয়ে ভুল করবে-এই সত্য মেনে নিন। তাদেরকে ঝুঁকি নিতে অনুপ্রাণিত করুন। আদেশের মাধ্যমে কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করার চেয়ে কর্মীরা যাতে নিজে থেকেই কাজে আগ্রহী হয়ে ওঠে সেই পরিবেশ তৈরি করুন। কর্মীদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি করুন যাতে তারা আপনার কাছে অকপটে নিজের ভুল স্বীকার করতে পারে।

৩. অধিকার অর্জন করুন

  • স্টার্টআপ ব্যবসায়ীদের একটি অধিকার অর্জন করতে হয়। কী সেই অধিকার? সেই অধিকারের নাম ‘কেন’ বলার অধিকার। সবকিছুর মধ্যে ‘কেন’ খুঁজুন। এমনকি আপনার ব্যবসা যদি সুচারুভাবে পরিচালিত হয় তবু প্রশ্ন করুন, ‘কেন সবকিছু ঠিকঠাক চলছে?’ প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেবার আগে প্রশ্ন করুন, কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। কেন মুনাফা বাড়াতে চাইছেন, মুনাফা বাড়াতে গিয়ে কেন ঝুঁকি নিচ্ছেন, কেন মেধাবী কর্মীদের নিজের প্রতিষ্ঠানে আনছেন… এভাবে সবকিছুর সামনে কেন জুড়ে দিন। যত বেশি এই কেন’র উত্তর দিতে পারবেন তত বেশি ব্যবসায় সফল হবেন।

৪. লক্ষ্য বেঁধে দিন

  • ছোট ছোট লক্ষ্য বেঁধে নিয়ে কর্মীদের কাজ করতে উৎসাহিত করুন। তাদেরকে বলুন একটি মাসিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিতে। তারপর সেই লক্ষ্য অনুয়ায়ী কাজ করতে বলুন। কিংবা সাপ্তাহিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেও কাজ করা যেতে পারে। তারপর সপ্তাহ শেষে অথবা মাস শেষে মিলিয়ে দেখুন আপনার নির্ধারিত লক্ষ্যের কয়টি পূরণ করতে পেরেছেন আর কয়টি পূরণ করতে পারেননি। কেন পূরণ করতে পারেননি, কোথায় কোখায় কোথায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা নির্বাচন করুন। খেয়াল রাখুন, পরের মাসের অথবা পরের সপ্তাহের লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে যেন আগের ভুলগুলো না হয়।

দ্য ইকোনমিক টাইমস অবলম্বনে।

Sharing is caring!

Leave a Comment