স্টার্টআপ মার্কেটিং
- মো. সাইফ
সিবি ইনসাইটের মতে ২৯ শতাংশ স্টার্টআপ বন্ধ হয়ে যায় টাকার অভাবে। ১৪ শতাংশ স্টার্টআপ ব্যার্থতায় মুখ থুবড়ে পড়ে শুধু বাজে মার্কেটিং বা বিপণন কৌশলের অভাবে।
তাই প্রচারণা, বিপননকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। নতুন স্টার্টআপের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং কৌশল যা হতে পারে:
১. ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি
বিশ্বজুড়ে অনেক অনেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, প্রতিনিয়ত নতুন স্টার্টআপও তৈরি হচ্ছে। তবে তাদের পণ্য এবং সেবাসমূহ সম্পর্কে জানতে পারছে খুব কম মানুষই। সোস্যাল মিডিয়া’র সঠিক ব্যবহার এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
- ফেইসবুক
- টুইটার
- লিংকডিন
- গুগলপ্লাস
- ইউটিউব
- ইন্সট্রাগ্রাম
আপনার ব্র্যান্ড এবং সেবাকে যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন ততটাই জনপ্রিয় হবে আপনার ব্র্যান্ড। মানুষ আপনার ব্র্যান্ডের নাম সচেতনভাবেই মনে রাখবে। এই ক্ষেত্রে উপরের উল্লিখিত সোস্যাল সাইটগুলোতে শুধু একাউন্ট খুলে বসে থাকলে চলবে না, নিয়মিত আপডেট দিতে হবে ব্যবসায়ের তথ্য সরবরাহ করে।
২. বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা
আপনি যদি একেবারেই নতুন ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করেন সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করাটা হবে আপনার মূল টার্গেট। কারণ যে ব্র্যান্ডের নাম আগে কেউ শোনেনি তার কাছে সেবা নিতে কেনো লোকে যাবে সেটি পরিষ্কার হওয়া দরকার। বর্তমান যুগে গ্রাহকরা অনেক বুদ্ধিমান। অনেক বিকল্প পন্থা হাতে থাকায় তারা নিজেরা আগে থেকে খোঁজ নিয়ে দেখতে চান সবচেয়ে উত্তম ব্র্যান্ড-পণ্য-সেবা কোনটি।
এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা জরুরি। আপনার ব্যবসায় ফেইল করছে না এবং গ্রাহক যথেষ্ট সাড়া দিচ্ছে এই ব্যাপারগুলো নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে পোস্ট করতে হবে। এছাড়া গ্রাহকদের সাথে আপনার সুসম্পর্ক এবং নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছেন তার প্রমাণস্বরূপ ছবি, তথ্য, নিউজলিংকগুলো দিতে হবে নিয়মিতই।
৩. বুদ্ধিদীপ্ত কনটেন্ট তৈরি করুন
ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ব্লগ থাকলে খুবই কাজে দেয়। ব্লগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পণ্য-সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে জানানো যায়। ব্লগে ভালো কনটেন্ট তৈরি রাখতে পারলে সোস্যাল মিডিয়ায় সেগুলো শেয়ার দিয়ে গ্রাহকদেরকে ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া সম্ভব।
আরো বিভিন্নভাবে কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব:
- ইনফোগ্রাফিকস
- ভিডিও
- ছবি
- বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল
- ব্র্যান্ডের নিয়মিত আপডেট
যেসব কনটেন্ট আপনার নিজের তৈরি না কিংবা সংগৃহীত সেগুলো প্রচার করার সময় তাদেরকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। এছাড়া আপনি যে সেক্টরে কাজ করছেন তাদের মধ্য থেকে প্রভাবশালী মানুষ এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের খবরাখবর প্রচার করতে দ্বিধা করবেন না। কারণ কথায় আছে, ‘সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়।’ আপনি আজ কাউকে ব্র্যান্ডিং করলে হয়ত কাল আপনার ব্র্যান্ডের সম্পর্কেও তারা প্রচার করবে।