১৩ নারীর উদ্যোগ ‘কায়ারা’

১৩ নারীর উদ্যোগ ‘কায়ারা’

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

প্রত্যেক নারী উদ্যোক্তারই থাকে ক্ষুদ্র কিছু যুদ্ধ যা জয় করে তাকে সামনে এগোতে হয়। এমনই কিছু অসাধারণ নারী একত্রিত হয়ে গড়ে তুলেছেন ‘কায়ারা’।


আইরিন হক আইভি

খুব ছোটবেলা থেকে মায়ের কাজ দেখে ভেবে নিয়েছিলেন বড় হয়ে একজন ডিজাইনার হবেন। আর স্বামী রওনাক রাহমান চৌধুরী এর অনুপ্রেরণা আর সহযোগিতায় অনলাইনে  নিজের ডিজাইন করা পোশাক দিয়ে  প্রথম অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন। শুরুটা বেশ ভালো ছিল। এক বছর অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার পরের বছরে এর মাঝে চট্টগ্রামে প্রথম আউটলেট। ২০১৫ সালে ১৩ জন ডিজাইনারকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন আরেকটি আউটলেট ‘কায়ারা’। যেখানে একি ছাদের নীচে ১৩ জন নারী উদ্যোক্তা শুরু করেন পথচলা। বাংলাদেশ উমেন্স ফ্যাশন ডিজাইনার সোসাইটির সিস্টার কনসার্ন এটি।

তাসফিয়া বাহার চৌধুরী

ফ্যাশনে উচ্চশিক্ষা নেয়ার ইচ্ছায় বাবার সহযোগিতায় দিল্লীতে ভর্তি। ফ্যাশন টেকনোলজিতে গ্রাজুয়েশনের পরে প্রথমে এই তরুণী  ‘ভিনায়াক কটুর’ পরে ঢাকার ‘আড়ং’-এ ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন। আবার লন্ডনে মাস্টার্সের জন্য ফেরত আসার পরে জয়েন করেন ‘ওয়ালমার্ট’-এ। পরে মায়ের সাহায্যে শুরু করেন নিজ যাত্রা। শুরুটা কষ্টের হলেও পরিবারের সাহায্যে এখন কিছুটা কনফিডেন্স আপনাআপনি তৈরি হয়ে গেছে। তিনি আশাবাদী।

সাবরিনা ইজদিহার

বৈচিত্র্যময় ডিজাইন আর নিপুণ কারুকাজের মাধ্যমে তৈরি করা হয় আরামদায়ক, দৃষ্টিনন্দন সব পোশাক। আর বিভিন্ন প্রিন্ট, সুই-সুতার সেলাইসহ হাতের কাজের মাধ্যমে হরেক রকম ডিজাইন দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন সাবরিনা ইজদিহার। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উইমেন ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি। দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে পশ্চিমা ডিজাইন মিলিয়ে বর-বধূর জন্য দারুণ সব পোশাক তৈরি করেন সাবরিনা। পোশাকের রঙ এবং ধাঁচ নিয়ে করছেন এক্সপেরিমেন্ট।

নুজহাত নুয়েরী ইসলাম

ছোটবেলায় ভালো ছবি আঁকার সুবাদে নিজের জামার ডিজাইন শুরু। বর্তমানে নিজ উদ্যোগে দুইটি আলাদা বিভাগ নিয়ে কাজ করছেন। ড্রেস বিভাগ এবং হোম ডেকোর বিভাগ। দেশীয় ঢঙে বিভিন্ন ধরনের ড্রেস তৈরি করা। এইসব ড্রেসের কাপড় দেশের বাইরে থেকে আনা এবং মাঝে মাঝে কিছু হ্যান্ডলুমে করা। আর হোম ডেকোর বিভাগটি পুরোপুরি দেশি উপকরণের উপর নির্ভরশীল। পাট, বাঁশ, বেত, হ্যান্ডলুম পাটের কাপড়ের সাথে রঙ-বেরং এর নকশা যোগ হয় প্রিন্টিং এর মাধ্যমে। এইসব কঠিন কাজ কখনো একা করা সম্ভব হতো না যদি পরিবার থেকে সহযোগিতা না থাকে।

দিয়া মুল্কজাদী

শুরুটা ছিল হুট করে কিন্তু স্বপ্নটা অনেক আগে থেকেই। এমন কিছু করতে ইচ্ছা ছিল যেখানে কাজের স্বাধীনতা থাকবে। এই মনোভাব থেকেই ব্যবসা, ডিজাইনিংয়ে আসা। প্রথমে কলেজে বার্ষিক মেলায় চাদর দিয়ে যাত্রা শুরু হলো, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে আঁকা ডিজাইন। ভবিষ্যতে নূরানি হোম ফ্যাশন, মুলক-জাদে ফ্যাশন এর হাত ধরেই পরিবর্তনের সাথে সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তার লক্ষ্য।

রেহনুমা সুলতানা

বাবা পেশায় আইনজীবী ছিলেন বলে, শখ করে আইন পড়ান। একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। হঠাৎ একদিন মনে হলো, অনলাইনে স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে নিজের ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারেন। এই ভাবনা থেকেই ২০১৩ তে পথচলা। আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য, শাড়ির উপরই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ভবিষ্যতে ব্যবসার পরিধি আরো বৃদ্ধি করবার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মাধ্যমে মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবসা করতে পারেন।

মাহিয়া নিনান পৌষী

এসএসসি পাস করার পর থেকে আগ্রহী হন। তিনি একজন সৌখিন ফটোগ্রাফার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবি তুলে উপার্জিত টাকার প্রায় পুরোটাই আমি ব্যয় করে ছয়টি ডিজাইনের পোশাক দিয়ে, তার নামেই পোশাকের ব্র্যান্ড খুললেন। খুব শীঘ্রই তার ডিজাইন ও পোশাক জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করলো। পরবর্তীতে  ‘বাংলাদেশ ডিজাইনার্স সোসাইটি’-এর সদস্য হন।

সূত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment