রাজধানীতে নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার তাগিদ এসেছে ব্যাংকার-এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ ও পণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) হিসেবে নারীরা তাঁদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। অর্থনৈতিক অগ্রগতি এগিয়ে নিতে শিক্ষিত ও উদ্যমী নারী উদ্যোক্তাদের তাই এখন বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার সময় এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে গতকাল সোমবার থেকে রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতি ভবন প্রাঙ্গণে ছয় দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু হয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন। সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে আয়োজিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাসিমা বেগম, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি আনিস এ খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায়। অনুষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তাদের মোট ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়।
মেলায় ২৭টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠিত স্টল রয়েছে। এসব স্টলে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলেন, ব্যবসাকে এত দিন শুধু পুরুষের কাজ মনে করা হতো, যা ইতিমধ্যেই নারী উদ্যোক্তারা ভুল প্রমাণ করেছে। অনেক পুরুষ উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেন না, কিন্তু নারীদের এমন দুর্নাম নেই। নারী উদ্যোক্তাদের তাই এখন বড় আকারের ঋণ দেওয়া উচিত।
গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ৪২ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে গত বছর ৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। যেসব নারীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ আছে, তাঁদের জামানত ছাড়াই ঋণ পাওয়া উচিত। এ জন্য ঋণের জামানত নীতিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এতে নারী উদ্যোক্তারা আরও বেশি করে ঋণ পাবেন।
এবারের মেলাটি ছোট পরিসরে আয়োজন করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে অনেক সময় ফেরত পাওয়া যায় না, বারবার আগুনে হাত দিয়ে হাত পোড়ে ব্যাংকগুলোর। এর চেয়ে এসএমই খাতের নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া অনেক বেশি নিরাপদ।