সোস্যাল বিজনেস ডিজাইন ল্যাবের প্রতিবেদন উপস্থাপন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সোস্যাল বিজনেস সেন্টারের অধীনে পরিচালিত সোস্যাল বিজনেস ডিজাইন ল্যাব (এসবিডিএল) তাদের দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। প্রতিবেদনে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসায়ের ওপর পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় এবং প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে দুটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকে সোস্যাল বিজনেস সেন্টারের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়। সবশেষে ‘শিক্ষা কি সামাজিক ব্যবসা হতে পারে?’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সোবহানবাগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যাঙ্কুয়েট হলে এসব অনুষ্ঠান হয়।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার হামিদুল হক খান, ব্যবসায় ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের (আইআইসি) পরিচালক আবু তাহের খান, এজিং সাপোর্ট ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি মো. হাসান আলী, রাজস্ব ও ভ্যাট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসাইন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি রওশন আরা বেগম, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক ডিজি রওশন আরা কবির এবং এল্ডারলি প্রোগ্রাম রিসোর্স ইন্টিগ্রেশনের সমন্বয়ক ফেরদৌসি বেগম।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সোস্যাল বিজনেস সেন্টারের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ ইবনে হাসান। এছাড়া অনুষ্ঠানে সোস্যাল বিজনেস সেন্টারের কার্যক্রমের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশরনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের প্রভাষক কামরুজ্জামান দিদার ও সোস্যাল বিজনেস ডিজাইন ল্যাবের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারনা উপস্থাপন করেন ডিজাইন ল্যাবের সমন্বয়ক কাজী মেজবাউর রহমান মিশু।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের সবাইকেই সামাজিক ব্যবসায়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা ব্যবসায়ই পারে একটি সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে।’এসময় তিনি শিক্ষিত তরুণদেরকে চাকরির পেছনে না ছুটে সামাজিক ব্যবসায়ের দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হামিদুল হক খান বলেন, ‘দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। উচ্চশিক্ষিত তরুণের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে কর্ম সংস্থান বাড়ছে না। ফলে তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হতেই হবে। এর বিকল্প নেই।’ এসময় তিনি ডিজাইন ল্যাবের এই উদ্যোক্তা তৈরির প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাবে বলে মন্তব্য করেন।
অতিথিদের বক্তব্য শেষে চারটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। প্রথম পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেন সিলেট থেকে আসা সাবুল আহমেদ। তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনার নাম লিলু গার্মেন্টস। এরপর ‘মমস কিচেন’ শিরোনামে ব্যবসায়িক প্রকল্প উপস্থাপন করেন ঢাকার উদ্যোক্তা তৌফিকুর-ই-এলাহী জামান। তৃতীয় প্রকল্পের নাম সোস্যাল মার্ট। এটি উপস্থাপন করেন ঢাকার উদ্যোক্তা নেওয়াজ আকবর এবং চতুর্থ প্রকল্প উপস্থাপন করেন ঝিনাইদহ থেকে আসা অমিত কুমার সরকার। অমিতের প্রকল্পের নাম সরকার পোল্টি।
এই চারটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সম্পর্কে বিষেশজ্ঞ পর্যায়ের মতামত দেন প্যানেল আলোচকরা এবং চারটির মধ্য থেকে দুটি প্রকল্প–লিলু গার্মেন্টস ও সরকার পোল্টিকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন। বাকি দুটি প্রকল্প কারিগরি সহায়তার জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়।
প্যানেল আলোচনা শেষে ‘শিক্ষা কি সামাজিক ব্যবসা হতে পারে?’ শীর্ষক কর্মশালা পরিচালনা করেন উপচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম এবং কর্মশালা শেষে তিনি ২৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে সনদ বিতরণ করেন। উল্লেখ্য, এই ২৩ শিক্ষার্থী সোস্যাল বিজনেস সেন্টার পরিচালিত সামাজিক ব্যবসায়ের ওপর শর্ট কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন।