নকশি কাঁথায় দিনবদল
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
দিনাজপুরের চিরির বন্দর উপজেলার ৮নং শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম সাইতাড়া (বানিয়াপাড়া) গ্রামের ননীগোপালের স্ত্রী সোনা রাণী (৪০) নকশী কাঁথা তৈরি করে দেশ ছাড়িয়ে বহির্বিশ্বেও সুনাম অর্জন করেছেন।
জানা গেছে, পেশায় একজন গৃহিণী হলেও ২০০৬ সালে এনজিও কেয়ারের রাস্তায় গাছ লাগানোর প্রকল্পে কাজ করার সময় সোনা রাণীর তৈরি নকশী কাঁথার কারুকার্যে মুগ্ধ নজরে পড়ে বাংলাদেশ কেয়ারের কেন্দ্রীয় প্রধান ব্যবস্থাপক মি. মিশায়েলের। তারপরই মি. মিশায়েল সোনা রাণীকে দিয়ে ওই এলাকায় একটি প্রকল্প চালু করেন। সোনা রাণী এই প্রকল্পে প্রায় ২০০-২৫০ জন নারীকে নিয়ে নকশী কাঁথা তৈরি করে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন।
কেয়ারের কেন্দ্রীয় প্রধান ব্যবস্থাপক মি. মিশায়েল জানান, সোনা রাণী ২০১৪ সালে আমেরিকার নিউ ম্যাক্সিকোতে হস্তশিল্পের মেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ বছরের ৯ এপ্রিল স্পেনে বিশ্ব হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে তার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যাওয়া হয়নি। তবে সারা বিশ্বের হস্তশিল্পের (নকশী কাঁথার) ৪০০০ শিল্পীদের তালিকায় ২৬তম স্থানে রয়েছেন সোনা রাণী। সোনা রাণীর স্বামী ননীগোপাল জানান, তার স্ত্রী সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশ-বিদেশে আরও সুনাম অর্জন করতে পারবেন। এ ব্যাপারে সোনা রাণী বলেন, ‘সার্বিক সহযোগিতা পেলে আমি নকশী কাঁথায় আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারব।’ উল্লেখ্য, সোনা রাণীর ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।