চার নারী উদ্যোক্তার কথা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ভালো কিছু করার ইচ্ছেটা থাকতে হবে। সেই ইচ্ছেটা আপনাকে নিয়ে যাবে স্বপ্নের কাছাকাছি। নিজ গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে এসে স্বপ্ন পূরণ করতে আসা কিছু নারীর পথচলার গল্প শুনুন এই প্রতিবেদনে।
সুনয়না মানদীপা
ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়ছি। আমার পথ চলা শুরু প্রথমে অনলাইন এ। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বিক্রয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে কাস্টমারদের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে পথ চলতে থাকি। বর্তমানে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত পুলিশ প্লাজাতে ‘সুনেয়নাস বুটিক্স’ নামে দোকান রয়েছে। দেশের বাইরেও আমার বেশ কিছু কাস্টমার রয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।
চাঁদনী সিকদার
ব্যবসার শুরুটা ২০১০ এ, যখন আমি বিবিএতে ভর্তি হই। ইচ্ছা ছিল ফ্যাশন ডিজাইনিং এ পড়বো। একদিন শখের বসে একটা পেজ খুলে ফেললাম ফেইসবুকে। কিন্তু কখনো ভাবিনি এটা একটা বিজনেস প্লাটফর্ম হয়ে উঠবে আমার জন্য। ২ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করি। তারপর বিবিএ শেষ করার পরে চাকুরী হয়ে গেল। ২ বছর চাকুরী করলাম কিন্তু বিজনেস কখনো ছাড়তে পারিনি। সাথে সেটাও চালিয়ে গেলাম। একটা সময় মনে হলো চাকুরীর থেকে বিজনেস করে আমি বেশি কমফোর্ট ফিল করি এবং প্রফিটও বেশি। জবটা ছেড়ে ফুল টাইম বিজনেস ওমেন হয়ে গেলাম। ভবিষ্যতে একটা বুটিক হাউস দেয়ার ইচ্ছা আছে।
নাজনীন সুলতানা রিমি
আমার বুটিক ব্যবসার শুরু ২০০১ সালে, হ্যান্ড পেইন্ট এর শাড়ি দিয়ে। প্রথম ডিজাইন করা শাড়িটা বিক্রি করে সেই টাকা আবার বিনিয়োগ করে ধীরে ধীরে ব্যবসা বড় করি। তখন আড়ং-এও আমার কাজ ডেলিভারি দেওয়া হত। বুটিক ব্যবসা করার অদম্য ইচ্ছা। ‘নাজনীনস ফ্যাসন হাউজ’ নামে ফেসবুকে পেইজ খুলি। সেই পেইজে প্রথম অর্ডার আসে অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত ‘সুঁই সুতা বুটিক’ থেকে ৬টা বাচ্চাদের ড্রেস। অর্ডার ডেলিভারি দেওয়ার পর তারা আরো ১০টা বড়দের ড্রেস-এর অর্ডার করেন। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রবাসী বাঙালীদের পজিটিভ কাস্টমার রিভিউই আমার ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি আর সাফল্যের চাবিকাঠি বলে আমি মনে করি। সাথে ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগিয়েই আমার এতদূর আসা।
নাফিসা শামা প্রভা
নতুন নতুন ডিজাইনের গহনা আমরা কে না ভালোবাসি? আর সেসব গহনাতে যদি থাকে কাঠ এবং রঙের অভিনব মিশ্রণের কারুশিল্প, তাহলে তো কথাই নেই। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে আমার প্রয়াসের বাস্তব রূপ হল ‘শারখানা’- একটি অনলাইন গহনার সংগ্রহশালা। ইচ্ছে ছিলো এমন কিছু বানানোর যেন তা দেশী বা ওয়েস্টার্ন সবকিছুর সাথেই মানিয়ে যায়। আমাদের কাঠ আর এক্রেলিক পেইন্টের সৃষ্টি যে সবাই এত পছন্দ করবে তা সত্যিই অচিন্তনীয় ছিলো।