নতুন ব্যবসায় স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ব্যাবসায়িক সাফল্য অর্জনের জন্য সবার আগে প্রয়োজন বড় ধরনের পরিকল্পনা। এরপরই প্রয়োজন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে ফেলা। একজন উদ্দ্যোক্তা হিসাবে আপনি হয়তো প্রভাবশালী কেউ, কিংবা আপনার কমিউনিটিতে গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয়ের উপর হয়তো আপনি প্রভাব সৃষ্টি করতে পারেন, কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে ব্যবসায়ের সাথে আপনার লক্ষ্য সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয়।
তবে সাফল্য পেতে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানকে একটা স্বেচ্ছাসেবক শক্তিতে পরিণত করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে গুগলের তথ্য ও উপাত্য পরিবেশন একটি বিশিষ্ট উদাহরণ । ২০০৮ সাল থেকে গুগল স্বেচ্ছাসেবকরা তিন সপ্তাহব্যাপী একটি ডেডিকেটেড সপ্তাহ শুরু করে। এ বছর উপসাগরীয় এলাকার ৭ হাজার গুগল কর্মচারী গুগলের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করছে। অন্যদিকে এয়ার বিএনবি স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে একটি অঙ্গীকার করেছে । সেটি হলো, প্রতিষ্ঠানের আয়োজক এবং অতিথি নিয়মানুযায়ী স্থানীয় স্কুলে অলাভজনক সেবা প্রদান করছে তারা।
এরপর টুইটারও একটি বড় উদাহরণ। টুইটার তার কর্মচারীদের স্থানীয় জনকল্যাণমূলক সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে ছুটি কাটানোর একটি সুযোগ করে দিয়েছে । যেখানে গুগল, এয়ার বিএনবি এবং টুইটার এমন কাজ করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পেরেছে, সেখানে আপনার প্রতিষ্ঠান কি পারে না শুরুতে কয়েক সপ্তাহ উৎসর্গ করতে? এজন্য শুরুতে একজন স্বেচ্ছাসেবক কর্মী পেতে তিনটি টিপস অনুসরণ করতে পারেন :
১. খুঁজে বের করুন কর্মীদের আগ্রহের বিষয়: অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইভিপি প্রোগ্রাম তৈরি করে যা কর্মীদের উত্সাহী করে না। একটি আকর্ষনীয় ইভিপি প্রোগ্রাম তৈরি করতে প্রথম ধাপে আপনার কর্মীদের উপর একটি প্রভাব তৈরি করতে হবে এবং এ ব্যাপারে আগ্রহী কি না তার মতামত জানতে হবে। এরপর যারা আগ্রহী তাদের নিয়ে একটি ইভিপি দল তৈরি করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে একটি বোর্ড মিটিং করা, কীভাবে প্রতিষ্ঠান এ সংস্কৃতি লালন করবে তার একটি সর্বোত্তম উপায় বের করা ইত্যাদি পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে হবে। এসব বিষয় জানার একটি সহজ উপায় হলো জরিপ করা ।
২. ভাঙতে হবে সকল বাধা: যখন বুঝবেন যে আপনার কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবার ব্যাপারে উৎসাহী, তখন খুঁজে দেখুন এ কাজে নিয়োজিত হতে তাদের বাধা কোথায়। যে কারণে তারা উদাসীন, সেটাই সুবর্ণ সুযোগ তাদের বোঝানোর। এ জন্য একটি ক্যাফেটেরিয়া বা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেতে পারে যেখানে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে।
৩.চিন্তা হোক বাস্তবসম্মত: অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের স্বেচ্ছাসেবকরা অপ্রতিরোধ্য। প্রযুক্তি বা টাকার দিয়ে তারা সেবা দান করছে । এরকম আরো আদর্শ বিকল্প পথ কী হতে পারে তা ভাবতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে এমন একটি ইভিপি প্রোগ্রাম যা বাস্তবায়নে কর্মীরা বদ্ধ পরিকর এবং যে প্রোগ্রাম সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অতএব, দেরি নয়। শুরুতেই এ তিনটি টিপস কাজে লাগিয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিন সাফল্যের পথে।