তিন বছরে তৈরি হবেন ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
গ্রামের যে নারী নকশিকাঁথা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির (আইসিটি) সাহায্য নিয়ে তিনি নিজের পণ্য বৈশ্বিক বাজারে তুলে ধরতে পারেন। আর এভাবেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে সাহায্য করবে আইসিটি। এই লক্ষ্য নিয়ে গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে উইমেন আইসিটি ফ্রন্টিয়ার ইনিশিয়েটিভের (ওয়াইফাই) বাংলাদেশ পর্বের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে শুধু মহিলা ও শিশুবিষয়ক নয়, সব কটি মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়াইফাই কর্মসূচি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে সরকারের আইসিটি বিভাগ এবং জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের ইউএন এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার ফর আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (ইউএন-এপিসিআইসিটি)। এই কার্যক্রমের আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে আইসিটিতে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, ইউএন-এপিসিআইসিটির পরিচালক হিউন-সুক রি এবং আইসিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী।
জুনাইদ আহ্মেদ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটিতে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ ৫০: ৫০ শতাংশ নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে নিয়ে যাবে ওয়াইফাই কর্মসূচি।’
যাদের কাছে তথ্য আছে, আর যাদের কাছে নেই—তথ্যপ্রাপ্তির এই বিভাজন ডিজিটাল বিভাজন হিসেবে পরিচিত। অনুষ্ঠানে হিউন-সুক রি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ডিজিটাল বিভাজন দূর করা।’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা ও দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা।
ওয়াইফাই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), আইসিটি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি)।