সবচেয়ে লাভজনক ১০টি ব্যবসা
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
১) এপার্টমেন্ট ভবনের গার্বেজ কালেকশন
ঢাকা শহরের (অন্যান্য বড় শহরেরও) এপার্টমেন্টভবনগুলো থেকে সিস্টেম্যাটিক পদ্ধতিতে গার্বেজ সংগ্রহ করে তা ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা যায়। এলিফেন্ট রোডের একটি এরকম এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স মাসে প্রায় ৮০০০ টাকা এই খাতে খরচ করে। গার্বেজ কালেকশন এবং ডিসপোজাল হবে এই উদ্যোগের মূল কাজ। তবে ভবিষ্যতে এটিকে আরো সম্প্রসারিত করে রিসাইক্লিং-এর ব্যবসাও করা যেতে পারে।
২) বাসায় বাসায় পাস্তুরিত দুধ সরবরাহ
উত্তরা এলাকায় প্রায় ৩ লাখ পরিবার বাস করে। এর ১০% -এর প্রতিদিন দুধের চাহিদা রয়েছে। ১ লিটার করে ধরলে মাত্র ৩০ হাজার লিটার! এর মধ্যে ৫ হাজারকে লিটার গ্রাহক বানাতে পারলে বড় ব্যবসা।
৩) ট্যুরিজম অনলাইন
আমাদের দেশের ভ্রমন উপযোগী বিভিন্ন স্থানের ডাটা কালেক্ট করে, ভাল ছবি তুলে ওয়েবসাইট দাঁড় করানো। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরের বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল এবং বাংলাদেশী ট্যুরিজম কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করা। এককথায় নিজের ফিজিক্যাল এক্সিস্টেন্স না থেকেও “মিডল ম্যান” হিসেবে কাজ করা।
৪) মোমবাতি বানিয়ে বিক্রি
যে হারে লোডশেডিং হয় তাতে মোমবাতি বানিয়ে অনায়াসে বি্ক্রি করা যাবে। প্যারফিন যোগাড় করে মোমবাতি বানানো, সাধারণ এবং রকমারি মোমবাতির ব্যবসা খারাপ নয়।
৫) কম্যুনিটি সার্ভিস
বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসা, বাসার কাপড় আয়রন করা, ময়লা ব্যবস্থাপনা, বুয়া ম্যানেজমেন্ট, বাজার করা, যেকোন কিছু রিপায়ার, বাসা চেঞ্জ প্রভৃতি কাজে সহায়তা করা। এক একটা বাসা, এক একটা ক্লায়েন্ট- মাসে ৫০০ টাকা করে পাওয়া গেলে ২ জন মানুষ ৫০/৬০টি বাসা সহজেই ম্যানেজ করতে পারবেন। ফ্লাটগুলো এক বিল্ডিং-এ বা পাশাপাশি হওয়ায় ২৫/৩০ হাজার টাকা আয় করা খুব কঠিন না। মানুষের কাছে সুনাম ধরে রাখার জন্য শক্ত ম্যানেজমেন্ট দরকার।পাশাপাশি বিশ্বাসী ও হতে হবে।
৬) ডে কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা
কর্মজীবি মা-বাবা তাদের সন্তানের প্রপার কেয়ার অ্যান্ড মেইনট্যানেন্স এর জন্যে সকালে অফিসে যাবার আগে ডে কেয়ার সেন্টারে রেখে যাবে এবং বিকেলে বা সন্ধ্যায় ফেরার পথে নিয়ে যাবে। অথবা এমনও হতে পারে যে, ডে কেয়ার সেন্টারের পক্ষ থেকে সকালে নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে বাচ্চাদের নিয়ে আসা হবে এবং সন্ধ্যায় বাড়ী পৌছে দেয়া হবে। ডে কেয়ার সেন্টার বাচ্চাদের ফুড (মেন্যু অনুযায়ী), মেডিসিন, বেসিক এডুকেশন, বিনোদন, খেলাধূলা, কেয়ার এন্ড মেইনট্যানেন্স প্রভাইড করবে বিনিময়ে এডমিশন ফিসহ মাসিক একটি ফি নেয়া হবে। কর্পোরেট কালচারের প্রাদুর্ভাবের কারণে এই ব্যবসাটির প্রসার এবং সম্ভাবনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৭) গিফট আইটেম
গিফট আইটেমের দেশে খুব অভাব। যেকোন ইভেন্ট/অকেশনে সুন্দর গিফট দেবার কিছু পাওয়া যায় না। এসবের একটা ব্যবসা করা যেতে পারে। এটার মুল থিম হবে, দেশী এবং পরিবেশবান্ধব (Green & Indigenous)। পাটের আইটেম, মাটির আইটেম, কাপড়ের ওপর নকশী কাজ, চামড়ার আইটেম, ঘরে বানানো কাগজের গ্রিটিংস কার্ড (handmade paper), সিরামিকের ওপর নকশা, বাঁশের, বেতের আইটেম, শুকনো ফুল, উপহারের ঝুড়ি, বাচ্চাদের জন্মদিনে দেবার গিফট, ইত্যাদি। মুল্য অনুসারে এগুলোকে কয়েকটা ভাগ করা যেতে পারে। ১০০ টাকার আইটেমের গিফট বাক্স/২০০ টাকার বাক্স/৩০০ টাকার/৫০০ টাকার/১০০০ টাকার। গিফটা র্যাপিং করে দেয়া যেতে পারে, প্রাপককে গিফট পৌছে দেয়া যেতে পারে। একটা ব্রান্ডিং করে ফেলতে পারলে ভাল হয়।
৮) ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যান্ড কন্সট্রাকশন
একটা ডিজাইন ফার্ম করা যেতে পারে। বসতবাড়ির ভেতরের ডিজাইন/পরামর্শ দেবে। বাড়িওয়ালাকে বলে দেবে কোন রঙের সাথে কোন রঙের টাইলস লাগালে ভাল হবে, পড়ার ঘরে কেমন পর্দা হবে। বসার ঘরে সোফার ডিজাইন কেমন হলে ভাল। কিচেনে কেবিনেটগুলো কীভাবে কাস্টমাইজ করা যায়। দরকার হলে সব সাপ্লাই দেবে। বলে দেবে কোন বাল্ব লাগানো দরকার, কয়টা ইউপিএস লাগবে। সেটা সোলার দিয়ে চার্জ করলে কেন ভাল হবে। বাড়ির সাথে লাগোয়া ছোট্ট বাগানের ডিজাইন/ল্যন্ডস্কেইপিং করে দেবে।
৯) নার্সারী
ফল ও ফুল গাছের চারা উৎপাদন করা যেতে পারে। সাথে অর্কিডের চাষ। আমাদের রকিব টিস্যু কালচার করে সস্তায় লাখ লাখ চারা উৎপাদন করে দিবে। প্রচলিত নার্সারী থেকে একটু সরে গিয়ে ঘর সাজানো গাছপালা, বনসাই, বিভিন্ন রকমের ফল (ষ্টারফ্রুট, ষ্ট্রবেরী, চেরী, এভাকাডো, ইত্যাদি) খামার করা যেতে পারে। তাতে সঙ্গী হিসেবে শৌখিন কবুতর পালন করা যেতে পারে।
১০) মোবাইল লোড
এটি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা নামে পরিচিত। একটি একাউন্ট আর কিছু টাকা জমা দিয়ে, একটি টেবিল চেয়ার নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে দেওয়া যায়। বিভিন্ন অপারেটর বিভিন্ন মানের কমিশন দিয়ে থাকে। তবে হাজারে ৩০-৩৫ টাকার মতো।