উদ্যোক্তা গড়ার ল্যাব ‘ড্যাফোডিল স্টার্টআপ মার্কেট’
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র শামসুল আমরিন রক্সি। স্নাতক শেষে আর দশ জনের মত ক্যারিয়ার যুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি ড্যাফোডিল স্টার্টআপ মার্কেটে একটি পোশাকের স্টল বসান তিনি। এক সময়ের হাত খরচ মেটানোর পেশাটিকে নিয়ে আজ তার সুদ‚রপ্রসারী পরিকল্পনা। এমনই আরো অনেক শিক্ষার্থীর গল্প রয়েছে যাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) ড্যাফোডিল স্টার্টআপ মার্কেট।
২০১৪ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রহমানের হাত ধরে অভিষেক হয় ড্যাফোডিল স্টার্টআপ মার্কেটের। ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল টাওয়ারের পাঁচ নম্বর ভবনের প্রথম তলায় প্রতি মঙ্গল ও বুধবার সারাদিন দেখা মিলে ক্রেতা ও বিক্রেতারূপী শিক্ষার্থীদের এই মিলন মেলার; দলগতভাবে বা নিজস্ব উদ্যোগে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পণ্যের স্টলগুলোর। ডিরেক্টর অফ স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্সের (ডিএসএ) পরিচালনায় নিবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে এখানে স্টল বসানোর অনুমতি ও ব্যবস্থা করে দেয়া হয়, নিবন্ধন ফি নেয়া হয় সাপ্তাহিক ৩০০ টাকা।
স্টার্টআপের দায়িত্বে থাকা ডিএসএ’র সহকারী কর্মকর্তা চন্দন হায়দার বলেন, ‘মূলত শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এ উদ্যোগ। আমরা একে বলি এন্ট্রেপ্রেনর ল্যাব।’ তিনি আরও জানান, ‘এখানে স্টল দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন লাভবান হতে পারে, সেজন্য আমরা সর্বদা তাদেরকে তদারকিতে রাখি। তাদেরকে পরামর্শ দেয়া থেকে শুরু করে অনলাইন মার্কেটিং-এর মাধ্যমেও সর্বাত্মক সহায়তা করি।’ সফল তরুণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে ডিআইইউ-এর পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন ব্যবসায়ীদের তথ্য আমরা সাথে সাথেই ভেনচার ক্যাপিটাল নামক একটি প্রতিষ্ঠানে পাঠাই। তারা ওসব তরুণদেরকে বৃহৎ আকারের ব্যবসার জন্য তহবিল ও সাধারণ প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে’।
ড্যাফোডিল স্টার্টআপ মার্কেটের তরুণ ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এটা তাদের বাণিজ্যিক ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে বেশ ভূমিকা রাখছে।
অপরদিকে ক্রেতাদেরকে কেনাকাটার জন্য ড্যাফোডিল স্টার্টআপকেই বিশেষভাবে বেছে নেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, ‘এখানে ভাল মানের পণ্য পাওয়া যায় এবং দামও তুলনামূলক পরিমিত’।