সারা দেশে চলছে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আইডিয়া (ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ একাডেমি) প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে চলছে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ নামে একটি আয়োজন। এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাঁদের উদ্ভাবনী ভাবনা উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন। নির্বাচিত কয়েকটি উদ্যোগকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়া প্রকল্প। পুরো আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত আছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং সহযোগিতা করছে ইয়ং বাংলা।
শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ভাবনাকে স্বাগত জানাতে এবং তাঁদের সহায়তা করতেই আয়োজন করা হয়েছে স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ (প্রথম অধ্যায়)। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত ১৩ মার্চ থেকে চলছে প্রাথমিক বাছাই। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ৩টি করে সর্বমোট ১২০টি উদ্ভাবনী ভাবনা বাছাই করা হবে। প্রাথমিক বাছাই শেষে জাতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হবে চার দিনের ক্যাম্পে। প্রথম দুই দিন বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের ভাবনা ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা তরুণ এই উদ্যোক্তাদের ভুলত্রুটিগুলো ধরতে সাহায্য করবেন। ক্যাম্পের তৃতীয় দিনে ৩০টি দলকে বাছাই করা হবে।
চূড়ান্ত পর্বে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ১০টি দলকে বিজয়ী হিসেবে মনোনীত করা হবে। এই ১০ দল তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সব ধরনের সহায়তা ও দিকনির্দেশনা পাবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়া প্রকল্পের পক্ষ থেকে। অবশিষ্ট ২০টি দলকেও ইয়ং বাংলার সহায়তায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
যেসব শিক্ষার্থী এই আয়োজনে অংশ নিতে চান, তাঁরা নিবন্ধন করতে পারবেন এই ওয়েব ঠিকানা থেকে: startupbangladesh.gov.bd/student-2-startup। অথবা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বুথ থেকেও সরাসরি নিবন্ধনের ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে আছেন ক্যাম্পাস প্রতিনিধি। তাঁরা নিবন্ধনের কাজে সহায়তা করবেন।
প্রকল্পটির পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক জানালেন, সম্ভাবনাময় উদ্যোগগুলোকে তিন ধাপে ভাগ করা হবে—প্রি–সিড, সিড ও গ্রোথ। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা অনুদান পাবে নির্বাচিত কয়েকটি দল। পরবর্তী সময়ে ১ কোটি থেকে শুরু করে প্রয়োজনে ৫ কোটি টাকা (ইক্যুইটি) সহায়তাও দেওয়া হবে।
সৈয়দ মজিবুল হক আরও বলেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এখানে জায়গা আছে, তাঁরা আমাদের অফিস ব্যবহার করতে পারবেন, অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবেন। আইনি পরামর্শ থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তা, সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব। ভবিষ্যতে যদি কোনো উদ্যোগ খুব ভালো করে, তাঁদের যদি আরও বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে। সব মিলিয়ে সারা দেশে একটা উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্যই এই প্রচেষ্টা।’