ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট’ বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি)-এর যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট : এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে মূখ্য আলোচক হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড বিজনেস অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের (ডব্লিউবিএএফ) চেয়ারম্যান বেইবার্স আলতুনতাস। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি)-এর চেয়ারম্যান মো. শামীম আহসান। গোলটেবিল বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিত্বগণ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বেইবার্স আলতুনতাস বলেন, গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয়ভাবে উদ্যোক্তা তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই। আর এজন্য স্থানীয় বিনিয়োগকারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। এসময় বেইবার্স বাংলাদেশের প্রসংশা করে বলেন, এ দেশের মানুষ অনেক পরিশ্রমী। এই দেশের এখনকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর বিপুল সংখ্যক পরিশ্রমী তরুণ প্রজন্ম। এই তরুণদের মধ্যে অনেকেই উদ্যোক্তা হতে চায়। তাদেরকে পৃষ্টপোষকতা করা অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরদের কাজ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর ধনী রয়েছে। তারা যদি তরুণ উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসেন তাহলে দেশের অর্থনীতি দ্রæত পরিবর্তন ঘটবে। অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টমেন্ট ধারনাটি বাংলাদেশে নতুন। এখনো এটি বেভাবে জনপ্রিয় হয়নি। এ ধারনাকে জনপ্রিয় করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে বিডা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বৈঠকের সভাপতি ড. মো. সবুর খান বলেন, আমাদের প্রচুর পরিমাণ অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর দরকার। অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর পেলে প্রচুর উদ্যোক্তা তৈরি হবে। আর বেশি বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হলেই দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে।