যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা : প্রয়োজনীয় তথ্য

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা : প্রয়োজনীয় তথ্য

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

বিশ্বায়নের যুগে দেশের অনেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য থাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করা। আর পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই থাকে সবচেয়ে বেশি। শিক্ষা ব্যবস্থার আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গ্রহণযোগ্যতাই এর পেছনের অন্যতম কারণ। বিশ্বের প্রথম সারির ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় সত্তরটিই যুক্তরাষ্ট্রের।


কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা অথবা বিজ্ঞান- সব ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ খ্যাতি ধরে রেখেছে। মনে রাখতে হবে সঠিক পরিকল্পনাই পারে একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করতে। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনাবিষয়ক সব ধরনের তথ্য এবং ভর্তি-সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ের পরামর্শের জন্য ঢাকার ধানমণ্ডির ১৬ নম্বর সড়কে অবস্থিত অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠান নিয়মিত

সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে আনছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে অথবা তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং সেশনেরও ব্যবস্থাও করছে। যেকোনো শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবহার করে সহজেই স্ট্যান্ডারাইজড টেস্ট (জিআরই, জিম্যাট, স্যাট) এবং ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি টেস্টের (আইইএলটিএস, টোফেল) প্রস্তুতি নিতে পারে। ইএমকে সেন্টার শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষামূলক বিভিন্ন সহায়তা করে থাকে, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। একজন শিক্ষার্থী কীভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে সে বিষয়ে গাইডলাইন দেওয়া হয় ইএমকে সেন্টারের পক্ষ থেকে। আবেদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে ইএমকে সেন্টার প্রতি রবি এবং মঙ্গলবার বিকেল ৩.৩০টায় সেমিনার আয়োজন করে থাকে। ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রতি সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ইএমকে সেন্টারের বিশেষ আয়োজনও থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিরা বাংলা মাধ্যম এবং ইংরেজি মাধ্যম উভয় ক্ষেত্রে ব্যাচেলরস এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করতে পারে এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রিসার্চে অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যও সুযোগ-সুবিধা, যেমন_ আলাদা বাসস্থান, আলাদাভাবে পড়াশোনার সুযোগ আছে।

তবে তার আগে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পুরো বৃত্তান্ত বৃত্তির জন্য দেখে থাকে। পুরো বৃত্তান্ত বলতে পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ, জিপিএ, প্রশংসাপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাস, এজঊ, এগঅঞ মাস্টার্স, পিএইচডি ডিগ্রি প্রার্থী অথবা ঝঅঞ স্নাতকোত্তরের স্কোর এসব দেখেই বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করে সে কী পরিমাণ বৃত্তি পাবে।

বৃত্তি : প্রাতিষ্ঠানিক বৃত্তি, ক্রীড়াবৃত্তি, মেয়েদের জন্য বৃত্তি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, সংখ্যালঘুদের বৃত্তি ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধীর জন্য বৃত্তির বিশেষ ব্যবস্থা আছে।

বিভিন্ন শিক্ষার্থীর জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যাদের এজঊ, এগঅঞ, ঝঅঞ হাই স্কোর তারা প্রায় সবগুলোতে আবেদন করার সুযোগ পাবে।

আবেদন প্রক্রিয়া : আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য নিম্নলিখিত আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে :

– আপনার কাঙ্ক্ষিত বিভাগে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা প্রথমে যাচাই করুন।

– আবেদন ফরম ও অন্যান্য তথ্যের জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিস বরাবর লিখুন।

– বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আপনি আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন।

– অ্যাডমিশন অফিস আপনাকে ভর্তি-সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য জানাবে।

– কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির পদ্ধতি চালু আছে।

– আপনি অন্তত এক বছর সময় হাতে রেখে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়াটি শুরু করুন।

– বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারণত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

– রিকমেন্ডেশন লেটার, নিজ সম্পর্কে প্রবন্ধ।

– সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকলে তার বিবরণ। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

– পূরণকৃত আবেদনপত্র।

– আবেদন ফি পরিশোধের প্রমাণপত্র।

– পূর্বতন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ইংরেজি সংস্করণ। শুধু অনুমোদিত যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিলিখন সম্পন্ন হতে হবে।

– স্কুল-কলেজের ছাড়পত্র।

– টোফেল পরীক্ষার ফলাফলের সনদ।

– প্রয়োজন সাপেক্ষে জিআরই, স্যাট বা ডিম্যাটের ফলাফলের সনদ।

– পাসপোর্টের ফটোকপি।

– শিক্ষার্থী ভালো করে ঝঃধঃবসবহঃ লেখে না।

– খুব সাধারণভাবে লেখে।

– প্রার্থীর ব্যাপারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকে না।

– দ্রুত শেষ করতে চায়।

– অন্যজনেরটা নকল করে।

ইংরেজিটাও ভালো শেখা চাই : সবসময় ইংরেজি বলা এবং লেখার অনুশীলন করতে হবে, বন্ধুদের অথবা বাবা মা ভাইবোনের সঙ্গেও ইংরেজিতে কথা বলে নিজের ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে হবে। কেননা ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকলে ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment