ফুলের হাসি চাষীর মুখে
নিউজ ডেস্ক : যশোরে মাঠের পর মাঠ শুধু ফুলের হাসি। আর এ হাসি এবার ছড়িয়ে পড়েছে ফুলচাষীদের মুখে। কারণ বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে প্রায় ১৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন যশোরের গদখালির ফুলচাষীরা। গত এক সপ্তাহে গদখালি ফুলবাজার থেকে এই ফুল সারাদেশে যায়।
এবার অনুকূল পরিবেশের কারণে ফুলের ফলন ভালো হয়েছে, তেমনি দামও পেয়েছেন ফুলচাষীরা। এতে গতবছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
যশোরের পানিসারা গ্রামের ফুলচাষী বাছেদুল ইসলাম, টাওরা গ্রামের সোলেমান আকতার ও কুদ্দুস মিয়া জানান, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, পানিসারা ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয় রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রকস্টিক, ক্যালেন্ডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরণের ফুল। চলতি ফুল মৌসুমে এ অঞ্চলে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করা হয়। এবছর অনুকূল আবহাওয়ায় ফুলের উৎপাদনও হয়েছে ভাল।
যশোরে ফুল ব্যবসায়ী আক্কাস রশিদ ও আকবর উদ্দিন জানান, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ফুলচাষীরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন। ক্ষেত আর বাজারে পঁচেছে লাখ লাখ টাকার ফুল। যা-ও বিক্রি হয়েছে তা পানির দরে। কিন্তু এ বছর সে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। বিগত থার্টিফার্স্ট ও ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে ফুলের ভালো বেচাকেনা হয়েছে। আর বসন্ত ও ভালবাসা দিবস উপলক্ষে গদখালিতে ফুলের দাম ও চাহিদা দু’টোই বেড়েছে। বসন্ত বরণ, ভালবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অন্তত ২০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান, গদখালিতে এখন গোলাপ প্রতিপিচ ৮ থেকে ১১টাকা, গ্লাডিওলাস ৫ থেকে ১০টাকা, রজনীগন্ধা আড়াই থেকে ৩ টাকা, জারবেরা ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে গদখালিতে অন্তত ১৩ কোটি টাকার ফুলের বেচাকেনা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস্ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। বেচাকেনায় সন্তুষ্ট এ অঞ্চলের চাষীরা।