রফতানি হবে পাটকাঠির ছাই
নিজস্ব প্রতিবেদক :পাটকাঠির ছাই যে রফতানি করে বছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়। তাই নতুন এ রফতানি পণ্যের বিকাশে মন্ত্রণালয়টি একটি নীতিমালা তৈরি করছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন গত মাসে সব জেলা প্রশাসককে পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই উৎপাদন ও রফতানি বিষয়ক তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত ছয়টি পাটকাঠির ছাই তৈরির কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলো হচ্ছে_ ফরিদপুরের মধুখালীর জিং সিং ট্রেডিং, বোয়ালমারীর গোল্ডেন কার্বন ফ্যাক্টরি, জামালপুরে দি গোল্ডেন ফাইবার, জামালপুর চারকোল ও মিমকো কার্বন এবং ঝিনাইদহের তাজ এগ্রো কার্বন ফ্যাক্টরি।
অন্যদিকে, পাট অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, দেশে বছরে প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এর মাত্র ৫০ শতাংশের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পাটকাঠির ছাইয়ের বার্ষিক উৎপাদন দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন, যা বিদেশে রফতানি করে বছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা আয় সম্ভব। পাশাপাশি সুযোগ সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের।
বর্তমানে চীন, তাইওয়ান, জাপান, ব্রাজিল, তুরস্ক, জার্মানি ও ইউরোপে পাটকাঠির ছাই রফতানি হচ্ছে। পাটকাঠি পুড়িয়ে পাওয়া এই ছাই দিয়ে তৈরি হচ্ছে আতশবাজি, ফেসওয়াশ, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ারের কালি, এয়ারকুলার, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য।