স্কুল-কলেজে প্রযুক্তির ছোঁয়া
- নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। এ ধারাবাহিকতাকে আরও এগিয়ে নিতে রাঙ্গুনিয়ার চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রাঙ্গুনিয়া কলেজ, খিলমোগল রসিক উচ্চবিদ্যালয়, উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চবিদ্যালয়, পোমরা বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ প্রতিষ্ঠানগুলোয় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব চালু হওয়ায় নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে। বর্তমানে রাঙ্গুনিয়ার এ চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। এর মধ্যে খিলমোগল রসিক উচ্চবিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ল্যাবে ল্যাপটপ আছে ১৭টি। এছাড়া ল্যাবটিতে রয়েছে প্রজেক্টর, স্ক্রিন, প্রিন্টার ও ইন্টারনেট ওয়াইফাই সুযোগ। এখানে শিক্ষার্থীদের অফিস প্রোগ্রাম যেমন- এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ছাড়াও ইন্টারনেট ব্রাউজ শেখানো হয়। প্রতিদিন মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে পাঠদান তো রয়েছেই। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে একদিন শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খিলমোগল রসিক উচ্চবিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতি গ্রুপে ১৬ জন করে ঘণ্টাব্যাপী দিনে চারটা গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এছাড়া সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার তৃতীয় ঘণ্টার পর সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান সুপতা জানায়, ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে জানব, বিশ্বকে জানাব। আমরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে ইন্টারেনেটের ব্যবহার শেখার সুযোগ পাচ্ছি। এভাবে আমরা একদিন বিশ্বকে জয় করব।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন জানায়, আমরা ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে বিভিন্ন বই সার্চ দিয়ে পড়তে পারছি। আমাদের আর নোটবইয়ের প্রয়োজন হয় না। আমরা এখন সহজেই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের সব তথ্য হাতের মুঠোয় পাচ্ছি। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল ইকবাল, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আঁখি আকতার, অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, সালমা আকতারসহ বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিদিন মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে ক্লাস করতে তাদের খুব ভালো লাগে। শিক্ষার্থীদের দাবি, আরও বেশিসংখ্যক কম্পিউটার থাকলে তাদের শিক্ষা আরও এগিয়ে যেত।