সিমেন্ট বিদ্যুত ও কাগজ শিল্পে বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব
- নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে সিমেন্ট ও কাগজ কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগের লক্ষ্যে বিসিআইসি এবং সৌদি আরবের আল রাজী গ্রুপের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো শিল্প মন্ত্রণালয়ে।
বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে বিসিআইসির পক্ষে সংস্থার সচিব হাছনাত আহমেদ চৌধুরী এবং সৌদি আরবের মেসার্স আল রাজী কোম্পানি ফর ইন্ডাস্ট্রি এ্যান্ড ট্রেডের পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসিফ আল রাজী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক উন্নয়ন অংশীদার। সৌদি প্রতিষ্ঠান আল রাজী গ্রুপের সঙ্গে বিসিআইসির চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সৌদি-বাংলাদেশ বিনিয়োগের নতুন ধারা সূচনা হলো। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরও সৌদি বিনিয়োগ আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এছাড়া মন্ত্রী এ সমঝোতা স্মারককে প্রাথমিক বিনিয়োগ চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত এর আর্থিক ও কারিগরি সমীক্ষা শেষে একে চূড়ান্ত রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চলতি বছর ১-৩ মার্চ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সৌদি আরব সফরকালে সে দেশের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ড. তাওফিগ ফাওজান আল রাবিয়াহ্ এবং সৌদি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সার, কেমিক্যাল, চিনি, সিমেন্ট, কাগজসহ উদীয়মান শিল্পখাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য সৌদি উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪-৬ জুন সৌদি আরব সফরকালে জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক সভায় সৌদি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ প্রেক্ষিতে আল রাজী গ্রুপের পক্ষ থেকে বিসিআইসির আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি এবং কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড (কেপিএম) এলাকায় সিমেন্ট ও কাগজ কারখানা নির্মাণের পাশাপাশি বিদ্যুত উৎপাদনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে সেটি চূড়ান্ত করা হলো। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, সৌদি আল রাজী গ্রুপ ও বিসিআইসির যৌথ উদ্যোগে কিংবা সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে (পিপিপি) বিদ্যমান ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি সংলগ্ন নিজস্ব জায়গায় ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রসহ বার্ষিক ১৫ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি আধুনিক প্রযুক্তির সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করা হবে।