বিদেশে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশি প্রসাধনীর
- নিউজ ডেস্ক
২৩ বছর আগে কোহিনুর কেমিক্যালের ৫৭০ ব্র্যান্ডের সাবান ভারতের ত্রিপুরায় রফতানির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রসাধনীর বিদেশযাত্রা শুরু হয়। এর পর দেশটির অন্যান্য রাজ্যেও সাবানসহ অন্যান্য প্রসাধনীর চাহিদা বাড়ে। কয়েক বছরের ব্যবধানে ভুটান ও নেপালেও বাজার তৈরি হয়। এখন আফ্রিকার কয়েকটি দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রসাধনী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের সাবান ও বডি লোশনই বেশি রফতানি হচ্ছে। আরও কিছু পণ্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মানের বিবেচনায় বাংলাদেশি প্রসাধনী ভালো হওয়ায় বিদেশে ব্যবহারকারীদের মধ্যে চাহিদা বাড়ছে। গত কয়েক বছরে বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন করছে। তবে অন্যান্য পণ্য রফতানিতে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা এবং শুল্ক সুবিধা পেলেও এ পণ্য তা পাচ্ছে না। এ কারণে অনেক পিছিয়ে পড়েছে প্রসাধনী রফতানি।
ইপিবির হিসাবে, ২০১০-১১ অর্থবছরে সাড়ে তিন লাখ ডলার প্রসাধনী রফতানি হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দ্বিগুণের বেশি সাড়ে সাত লাখ ডলার রফতানি হয়। পরের অর্থবছরে সামান্য কমলেও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রফতানি কিছুটা বেড়ে ১৫ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। গত অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ১৪ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী রফতানি হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হয়নি। সাফটা চুক্তির আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না।
বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চীনের প্রসাধনীর মূল্য অনেক কম হওয়ায় স্থানীয় উৎপাদকরা বাজার ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতি বছর চীন, ভারত, দুবাই ও থাইল্যান্ড থেকে সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকার প্রসাধনী আমদানি হচ্ছে। এ জন্য ভালো পণ্য উৎপাদন করলে স্থানীয় বাজার দখল করার পরামর্শ দেন তিনি।