বাংলাদেশে নারী-পুরুষ সমান সমান
- নিউজ ডেস্ক
লিঙ্গ সমতায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘বৈশ্বিক লৈঙ্গিক ব্যবধান সূচক ২০১৬’ শীর্ষক প্রতিবেদন এ অবস্থানের কথা জানায়। বৈশ্বিক সূচকে বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭২তম স্থান পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম, স্বাস্থ্য ও আয়ু বিবেচনায় ৯৩তম, শিক্ষায় ১১৪তম এবং অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগের দিক দিয়ে ১৩৫তম স্থান পেয়েছে।
বৈশ্বিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভারত ৮৭তম, শ্রীলঙ্কা ১০০তম, নেপাল ১১০তম, মালদ্বীপ ১১৫তম, ভুটান ১২১ ও পাকিস্তান ১৪৩তম অবস্থানে রয়েছে। সূচক অনুযায়ী, লিঙ্গ সমতার দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ২০তম, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, লিঙ্গ সমতায় সবার শীর্ষে আছে আইসল্যান্ড। ফিনল্যান্ড দ্বিতীয়, নরওয়ে তৃতীয়, সুইডেন চতুর্থ, রুয়ান্ডা পঞ্চম, আয়ারল্যান্ড ষষ্ঠ ও ফিলিপাইন সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন করা শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নেপাল (১২%), যুগ্মভাবে অষ্টম অবস্থানে ভারত (৮%)।
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গড়ে ৩৩% লৈঙ্গিক ব্যবধান রয়েছে। এ অঞ্চলের কোনো দেশই শিক্ষা ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক ব্যবধান পুরোপুরি দূর করতে পারেনি। শ্রীলঙ্কা স্বাস্থ্য খাতে লৈঙ্গিক ব্যবধান পুরোপুরি দূর করতে পেরেছে। বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের সবচেয়ে ভালো ফল অর্জনকারী হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে এ দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক ব্যবধান কমেছে। তবে শ্রম খাতে নারীর অংশগ্রহণ ও আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যবধান বেড়েছে।
মজুরি সমতা এবং শিক্ষা খাতে ভারত অগ্রগতি হলেও নারীর আয়ের ক্ষেত্রে কিছু অবনতি হয়েছে। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে নারীর অংশগ্রহণ কিছুটা বাড়লেও শ্রমক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ, মজুরি ব্যবধান আরো বিস্তৃত হয়েছে। নেপালে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন কিছুটা বাড়লেও বৈশ্বিক সূচকে দেশটি আগের অবস্থানেই রয়েছে। মালদ্বীপের নারীদের আয় কিছুটা বাড়লেও শিক্ষা খাতে লৈঙ্গিক ব্যবধান বেড়েছে। শ্রমক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও মজুরি খাতে ভুটানে লৈঙ্গিক ব্যবধান বেড়েছে।
লিঙ্গ বৈষম্যের ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তান। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে পাকিস্তান লৈঙ্গিক ব্যবধান কমালেও মজুরি ও সাক্ষরতা খাতে আগের চেয়ে পিছিয়েছে।