৩ নভেম্বর শুরু হচ্ছে লেদার ফেয়ার
- নিউজ ডেস্ক
চামড়া শিল্পের উন্নতি ও আধুনিকায়নে আগামী ৩ নবেম্বর থেকে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৪র্থ বারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে ৩ দিনের লেদারটেক বাংলাদেশ-২০১৬। প্রদর্শনী শেষ হবে ৫ নভেম্বর।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৩ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং ফুটওয়্যার শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনারি, কম্পোনেন্ট, কেমিক্যাল এবং এ্যাকসেসরিজ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় প্রযুক্তি তুলে ধরা হবে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, এবারের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, কোরিয়া, তুরস্ক, মিসর, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, শ্রীলঙ্গা, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, তাইওয়ান এবং হংকং এর মোট ২৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। প্রতিষ্ঠানগুলো ট্যানিং লেদার, ম্যানুফ্যাকচারিং ফুটওয়্যার এবং চামড়াজাত পণ্যসহ সংশ্লিষ্ট্র প্রযুক্তি উপস্থাপন করা হবে। প্যাভিলিয়নের একটি বড় অংশজুড়ে থাকবে ভারত ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানি। মেলার আয়োজক আসক ট্রেড এ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল বলেন, বর্তমানে দেশের চামড়াশিল্প একটি সম্ভাবনাময় জায়গায় অবস্থান করেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের চামড়া শিল্প থেকে রফতানি আয় দাঁড়াবে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই শিল্প তৈরি পোশাক শিল্পের পরের স্থানটি দখর করার জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জন একদিকে যেমন আমাদের সামনে বড় সুযোগ তৈরি করবে। একই সঙ্গে এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তামাক চাষের বিকল্প হতে পারে তুলা চাষ
স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীতে তুলা চাষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপী জেলার উত্তরা ইপিজেডের ডিয়াজ হোটেলে ‘বুসিটং কটন প্রোডাকশন ইন নর্থবেঙ্গল এ্যান্ড ইটস প্রবলেম এ্যান্ড প্রসপেক্টাস’ শিরোনামে সেমিনারের যৌথভারে আয়োজন করে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড (বিসিডিবি), নীলফামারী শিল্প ও বণিক সমিতি, জেরিন টেক্স, আরএমজি ক্রোনিক্যাল।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে প্রতিবছর ৬০ লাখ বেল তুলার চাহিদা রয়েছে। যার সিংহভাগই আমদানি করা হয়। সম্ভাবনাময় উত্তরাঞ্চলে তুলা উৎপাদন বাড়িয়ে ১০০ কোটি ডলার আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান অতিথি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচলক ড. ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৭ লাখ হেক্টর পতিত জমিতে তুলা উৎপাদন করা সম্ভব। এসব জমিতে ২০ লাখ বেল তুলা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের (আরএমজি) তুলা আমদানিনির্ভরতা কমাতে উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। উৎপাদন বাড়িয়ে এক-তৃতীয়াংশ আমদানিনির্ভরতা কমানো সম্ভব। আর তুলা উৎপাদনে সম্ভাবনাময় অঞ্চল দেশের উত্তারাঞ্চলের জেলাগুলো।