রোগমুক্ত সবজি উৎপাদন করছে কৃষক
- নিউজ ডেস্ক
দেশে এখন রোগ-বালাইমুক্ত শাকসবজি, ফলমূল ও পান উৎপাদন হচ্ছে। খামার পর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে এ সবের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। নির্বাচিত খামারে তালিকাভুক্ত ও প্রশিক্ষিত কৃষকরা মাঠপর্যায়ে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসমুক্ত ফসলের আবাদ করছেন। এভাবে দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি উপযোগী করার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে দেশের ৯টি জেলায় রফতানিযোগ্য এসব ফসলের বালাইমুক্তকরণ কার্যক্রম চলছে। নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাজীপুর ও কুমিল্লা এবং বান্দরবান জেলার ২০টি স্থানে এভাবে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।
অ্যাগ্রবিজনেস ফর ট্রেড কমপিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এটিসি-পি) আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে। এ কার্যক্রমে অর্থায়ন করেছে ইউকেএইড, সুইস কন্ট্যাক্ট এবং ডানিডার মতো দাতা সংস্থা।
শুধু মাঠপর্যায়েই নয়, উৎপাদন থেকে রফতানি প্রক্রিয়ার সব স্তরেই জোরদার করা হয়েছে সরকারি নিয়ন্ত্রণও। বাড়ানো হয়েছে কৃষি সংগনিরোধ বিভাগের সক্ষমতা। ল্যাবে আনা হয়েছে মান পরীক্ষার উন্নত প্রযুক্তির বায়োলগ মেশিন ও মাইক্রোস্কোপ। বিমানবন্দরে বসানো হয়েছে শক্তিশালী স্ক্যানার। শতভাগ মান বজায় রেখে প্যাকেজিংয়ে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। ব্যতিক্রমে নেয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও। এতে ইইউতে রফতানির প্রতিবন্ধকতা দ্রুত কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ উইংয়ের দাবি, রফতানিকৃত কৃষিপণ্যের মান নিয়ে ইইউর আপত্তি তোলার পর পরিস্থিতি উন্নয়নে এ অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন শুরু হয়। এর আওতায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিং পদ্ধতিতে শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করা হচ্ছে। এমন ১৬টি কৃষিপণ্য এখন ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে রফতানি উপযোগী। যা সম্পূর্ণভাবে বালাইমুক্ত। পণ্যগুলো হচ্ছে- বেগুন, করলা, কাঁকরোল, চিচিংগা, চালকুমড়া, পটোল, শসা, ঢেঁড়স, শিম, মরিচ, এবং পাতাজাতীয় সবজি পাটশাক, পুঁইশাক, লালশাক, ডাঁটাশাক প্রভৃতি।
এ প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ উইং) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় এসব ফসলের স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারির মানদণ্ড এখন কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।