বিদেশে নারী কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে
- সমকাল প্রতিবেদক
অভিবাসন ব্যয় বাড়লেও ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে বিদেশে যাওয়া নারী কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৩৯ শতাংশ বেড়েছে। তাদের অধিকাংশই গৃহকর্মী।
শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘বিদেশে চাকরিতে নিয়োগ : সুযোগ এবং প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক পরামর্শ সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
ব্র্যাক, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর মাইগ্রেন্টস রাইটস, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি কোঅর্ডিনেশন কমিটি অন গ্লোবাল ফোরাম অ্যান্ড মাইগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট (জিএফএমডি) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচির প্রধান হাসান ইমাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) মহাসচিব মো. রুহুল আমিন স্বপন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের উপপ্রধান কেএম আলী রেজা, মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব কাজী আবুল কালাম, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ট্রেনিং স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড প্ল্যানিং বিভাগের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কয়েকজন বিদেশ ফেরত বাংলাদেশি কর্মী অভিযোগ করেন, সৌদি আরব বাদে অন্য দেশে যেতে নারী গৃহকর্মী ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে হচ্ছে। সৌদি আরবে যেতে পুরুষের জন্য ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সরকার নির্ধারণ করলেও ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
তাদের অভিযোগের ব্যাপারে একমত পোষণ করে সভায় বক্তারা বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অধিকহারে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় তেমন ব্যবস্থা নেয় না। ফলে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া কর্মীদের হয়রানি কমছে না। মধ্যস্বত্ত্বভোগী ও কতিপয় অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সির কারণে বাংলাদেশের অভিবাসীরা যে হয়রানির শিকার হচ্ছে তা মোকাবেলায় বিদ্যমান জনশক্তি নীতিমালাকে আরও যুগোপযোগী এবং মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানান তারা।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য বেশ কিছু সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি মো. সেলিম রেজা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া পুনরায় শ্রমবাজার উন্মুক্ত করায় ২০১৭ সাল নাগাদ ১ লাখ কর্মী মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারব আমরা।
কর্মী নিয়োগে রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে শুরু করে মধ্যস্বত্ত্বভোগী, দালাল, নিয়োগকারী, কর্মীগ্রহণকারী দেশসহ বিভিন্ন স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে পুরো পদ্ধতিকে ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বায়রার মহাসচিব মো. রুহুল আমিন স্বপন।