যত্নে থাকুক যকৃত
শিমি আক্তার : আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদান হলো যকৃত বা লিভার। লিভার শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে যেমন: হিমোগ্লোবিন মলিকিউল, ইনসুলিন এবং অন্যান্য হরমোন ভেঙে ফেলে; রক্তের পুরাতন লাল সেল বা রেড ব্লাড সেল নষ্ট করে দেয়; রক্তের বিষাক্ত উপাদান অপসারিত করে; ভিটামিন ও আয়রন জমা করে; এবং যকৃত থেকে নিঃসৃত পাচক রস উৎপাদনে সহায়তা করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো লিভার শরীরের সকল বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়।
যা হোক, অতিরিক্ত ডায়েট বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা ও আরও অন্যান্য কারণে লিভারের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। লিভার দুর্বল হওয়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরণের মারাতœক রোগ দেখা দিতে পারে। সুতরাং আমাদের সকলেরই সঠিকভাবে লিভারের যতœ নেওয়া দরকার। হ্যাঁ লিভারকে কীভাবে সুস্থ রাখা যায় তা আমাদের সকলেরই জানা দরকার।
প্রাকৃতিক উপাদনসমূহ ব্যবহার করেই লিভার পরিস্কার রাখা সবচেয় উত্তম কাজ। যেমন :
১. রসুন : রসুন হলো খাদ্যের অন্যতাম একটি উপাদান যা সহজে লিভারকে পরিস্কার রাখে। রসুন শরীরের বিষাক্ত ক্ষতিকর উপাদানসমূহ বের করে দেয়। এর মধ্যে থাকা এ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম উপাদান সহজেই শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান সমূহ বের করে দিয়ে লিভারকে সুস’ ও পরিষ্কার রখতে সহায়তা করে।
২. গম : এটি আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যা সহজে লিভারকে পরিস্কার রাখে। এতে গ্লুটেন নামক একধরণের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে শরীর থেকে ক্ষতিকর দুষিত উপাদানসমূহকে বের করে দিয়ে লিভারকে ভালো রাখে।
৩. অলিভ অয়েল : কোল্ড প্রেস্ড অয়েল যেমন অলিভ অয়েল এবং ফ্লাকসিড অয়েল অন্যতম একটি খাদ্য উপাদান যা লিভারের ক্ষতিকর উপাদানসমূহ দুর করে লিভারকে পরিস্কার রাখে। অলিভ অয়েল শরীরে এাকটি লিপিড জাতীয় উপাদন সরবরাহ করে ফলে দেহের ক্ষতিকার উপাদানসমূহ শোষণ করতে সাহায্য করে।
৪. লিফি গ্রিনস : লিফি গ্রিণসে উচ্চ ক্লোরোফিলযুক্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যা পরিবেশগতভাবে যেসব দুষিত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে শরীরের রক্ত প্রবাহ থেকে সেই দুষিত উপাদান সমূহ অপসারণ করে।
৫. গ্রিন টি : গ্রিন টিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা লিভারে জমাকৃত চর্বি দূর করে। এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন গ্রিন টি পান করেন তাহলে এটি হতে পারে আপনার লিভারের ক্ষতিকর দূষিত উপাদানসমূহ দুর করার সর্বোত্তম ব্যবস্থা।